গুরুং-ঘিসিংদের বয়কট সত্ত্বেও ভোটে সাড়া পাহাড়ে, শান্তিপূর্ণ শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোট

Spread the love

দশ বছর পর পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হল। তাই ভোরবেলা থেকে বৃষ্টি পড়লেও তা উপেক্ষা করেই বুথে পৌঁছে যান ভোটাররা। যদিও বেলা বাড়তেই বৃষ্টি কমে আসে। কিন্তু দিনভর ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি চলেই। এর মধ্যে আবার মেঘ-রোদের লুকোচুরিও চলেছে। মোটের উপর মনোরম আবহাওয়ায় অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হল পাহাড়ে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রেকর্ড অনুযায়ী, দিনশেষে ৫৬.৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। যা কম নয় মোটেও।

রবিবার বৃষ্টির প্রভাব কমতেই মুহূর্তের মধ্যে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে যায় গোটা পাহাড়। বেশ ঠান্ডাও পড়ে যায়। কিন্তু বাসিন্দারা এর মধ্যেও ছুটে গিয়েছেন ভোট দিতে। গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ৪৫টি আসনের ২৭৭ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করার লক্ষ্যে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দিলেন পাহাড়বাসী। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হল পাহাড়ে। কোথাও কোনওরকম গণ্ডগোল হয়নি। তবে ভোট বয়কট করেছেন বিমল গুরুং। তাঁর সাফ কথা, পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চাই আগে, তারপর জিটিএ নির্বাচন। ভোটে অংশ নেয়নি সুবাস ঘিসিংয়ের ছেলে মন ঘিসিংয়ের জিএনএলএফও।

সকাল সকাল ভোট দেন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনিত থাপা। তিনি বলেন, “আশা করি মানুষ পাহাড়ের শান্তি-উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আমাদের জয় নিশ্চিত। আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে থেকেই কাজ করতে চাই।” অন্যদিকে বিকেলে ভোট দিয়ে হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড বলেন, জনতা যা রায় দেবে মাথা পেতে নেব। যদি ক্ষমতায় বসি তাহলে নিষ্ঠা-স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করব। আর বিরোধী হলে গঠনমূলক বিরোধিতা করব। ভোট দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী বিনয় তামাং বলেন, বিজেপি পাহাড়ের মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে। তাই তাঁরা পাহাড় থেকে ভোট পাবে না। আমাদের ১০জন জিতবেই। আমি নিজেও জিতব। একইভাবে দার্জিলিং এর পর্যবেক্ষক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “পাহাড়ে খুব ভাল জিটিএ নির্বাচন হয়েছে। বৃষ্টি মাথায় নিয়েও যেভাবে মানুষ ভোট দিয়েছে তাতে ধন্যবাদ সকলকে। আমাদের সব প্রার্থী জিতবে।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*