আরও মহার্ঘ্য পেট্রল-ডিজেল। লিটার পিছু পেট্রলের দাম আগেই সেঞ্চুরি পেরিয়েছে। বুধবার থেকে ১০০-এর উপর দিয়ে যাচ্ছে পেট্রলের দাম। আজ তা বেড়ে ১০১ টাকা ১ পয়সায় পৌঁছে গিয়েছে। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লিটার পিছু ডিজেলের দামও। কলকাতায় আজ ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯২ টাকা ৯৭ পয়সা।
উত্তরের বেশ কয়েকটি জেলায় আরও আগে একশোর গণ্ডি পার করেছে পেট্রল। একে তো করোনা পরিস্থিতি। তার উপর ক্রমেই মহার্ঘ্য হচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম। ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ নাগরিকদের। পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধিকে ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য চাপানউতোরও চলছে সমানে। রাজ্য দিল্লিকে বলছে সেস কমাতে। দিল্লি থেকে আবার বলা হচ্ছে. রাজ্য সরকার কেন তার ভাগের টাকা কমাচ্ছে না।
কেন্দ্রের তরফেও অবশ্য একাধিকবার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে । কিন্তু প্রতিবারই নির্মলা সীমারমন বা অন্যান্য মন্ত্রীদের গলায় শোনা গিয়েছে, তাঁরা অপারগ। জ্বালানি তেলের দাম যে আন্তর্জাতিক বাজার দরের উপর নির্ভর করে সেই কথাই বারবার বলে নিজেদের কোর্ট থেকে বল সরিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে রাজ্য সরকারেরও গলায় কাঁটার মতো বিঁধছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। বিশেষ করে বেসরকারি বাস পরিষেবা সচল রাখতে গিয়ে নাজেহাল রাজ্য। বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলির থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছে ভাড়া বাড়ানোর জন্য। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভাড়া না বাড়ানো হলে, এই অগ্নিমূল্য বাজারে রাস্তায় বাস নামানো সম্ভব নয়। কিন্তু রাজ্য সরকার বাসের ভাড়া বাড়ানোর বিপক্ষে।
আর এরই জাঁতাকলে পরে ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা। লোকাল ট্রেন বন্ধ। রোজকার যাওয়া আসায় ভরসা বাস পরিষেবাই। অথচ, রাস্তায় দেখা নেই পর্যাপ্ত বেসরকারি বাস ও মিনিবাসের। এদিকে ট্যাক্সি বা অটোগুলির ভাড়াও একাধিক জায়গায় মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।
শুধু কলকাতাতেই নয়, নয়াদিল্লি, মুম্বই, ভোপালেও বেড়েছে পেট্রোপণ্যের দাম। রাজধানীতে আজ পেট্রলের দাম লিটার পিছু ১০০ টাকা ৯১ পয়সা, ডিজ়েল লিটার পিছু ৮৯ টাকা ৮৮ পয়সা । ভোপালে পেট্রলের দাম লিটার পিছু ১০৯ টাকা ২৪ পয়সা, ডিজ়েল লিটার পিছু ৯৮ টাকা ৬৭ পয়সা । মুম্বইয়ে পেট্রলের দাম লিটার পিছু ১০৬ টাকা ৯৩ পয়সা, ডিজ়েল লিটার পিছু ৯৭ টাকা ৪৬ পয়সা।
Be the first to comment