বিজেপি অর্থকেন্দ্রিক দল, ওখানে কাজ করার থেকে টাকা চাওয়ার লোক বেশিঃ প্রবীর ঘোষাল

Spread the love

তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন প্রবীর ঘোষাল। কিন্তু সেখানে তিনিও আর থাকতে পারছেন না। কেন থাকতে পারছেন না, তা জানিয়ে তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় কলম ধরলেন। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক অভিযোগ করেছেন, বিজেপি অর্থ কেন্দ্রিক দল। বিজেপি নেতা তথাগত রায়-ও তা বলেছেন বলে দাবি প্রবীর ঘোষালের।

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার কি ঘরে ফেরার পালা প্রবীর ঘোষালের? সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘দল বদলালেও, প্রবীরের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’ সেই বক্তব্যের পর জাগো বাংলায় প্রবীর ঘোষালের লেখনী- আরও জোরাল হল প্রবীর-তৃণমূল যোগ।

বুধবার সকালে জাগো বাংলায় প্রবীর ঘোষালের একটি লেখনী প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনের শিরোনাম, ‘ওখানে কাজ করার থেকে টাকা চাওয়ার লোক বেশি।’ তাঁর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ‘টাকা নিয়ে টিকিট’ ইস্যুও। ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ প্রসঙ্গটি উঠে আসে।

পুরনির্বাচনের প্রাক্কালে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি যুবনেতার চাঞ্চল্যকর অডিয়ো ক্লিপ ফাঁস হয়েছে। সেই কলরেকর্ডে শোনা যাচ্ছে দুই ব্যক্তির মধ্যে কথা হচ্ছে। এক পক্ষ টিকিট প্রার্থী। অন্যজন বিজেপির যুবনেতা প্রীতম সরকার বলে অভিযোগ। বিজেপিতে দলের অন্দরে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন বর্যীয়ান নেতা তথাগত রায়।

তারপরই প্রকাশ্যে আসে বিতর্কিত অডিয়ো ক্লিপ। এবার বিজেপির আরেক নেতা প্রবীর ঘোষাল বিজেপিকে অর্থকেন্দ্রিক দল বলে কটাক্ষ করে লেখেন, “বিজেপিতে অসংখ্য শাখা সংগঠন। ৬০টিরও বেশি। পদাধিকারীরা সকলেই নিজেদের নেতা নেত্রী মনে করেন। কেউ কর্মী নন। তাঁদের সকলের আলাদা আলাদা দাবি সনদ। বেশিরভাগই অর্থকেন্দ্রিক।” তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, বিজেপিতে কাজ করার থেকে টাকা চাওয়ার লোক বেশি।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে প্রাক্তনমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে চাটার্ড বিমানে দিল্লী উড়ে গিয়েছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। রপর সেখানে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরেই পদ্মপতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এখনও সেই দলেরই সদস্য। অথচ দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে কলম ধরলেন জাগো বাংলার পাতায়।

বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন উত্তরপাড়ায়। কিন্তু প্রবীর ঘোষাল পরাজিত হন। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে যেভাবে জলঘোলা শুরু হয়েছিল, ঠিক সে সময় প্রবীর ঘোষালকে নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়। ত্রিপুরায় অভিষেকের হাত ধরে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে রাজীবের। প্রবীর ঘোষালের রাজনৈতিক অবস্থান এখনও ধোঁয়াশায়। তবে জাগো বাংলায় যেভাবে তিনি তাঁর বর্তমান দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন, তাতে ধন্দে রাজনৈতিক মহল।

প্রবীর ঘোষাল জানিয়েছেন, তিনি এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাল ঢোল পিটিয়ে তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন না। তাঁর বক্তব্য, তাঁকে জাগো বাংলার সম্পাদকীয় বিভাগে কলম ধরবার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। বিজেপিতে গিয়ে তিনি কী কী অনুধাবন করেছিলেন, তাঁর একটি খসড়া তুলে ধরেছেন। এখন তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন। কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। প্রবীর ঘোষাল ইঙ্গিত, দিয়েছেন, আপাতত রাজনীতির থেকে দূরে থেকে লেখালেখিতেই নজর দেবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*