রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধী জোটের প্রার্থী হচ্ছেন না শরদ পওয়ার। প্রার্থী হওয়ার দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন এনসিপি সুপ্রিমো। সোমবার মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীদের বৈঠকে পওয়ার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সম্মিলিত বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হচ্ছেন না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে বুধবার দিল্লিতে বৈঠকে বসছে বিরোধী দলগুলি। তার আগেই পওয়ারের এই ঘোষণা বিরোধী শিবিরের জন্য কিছুটা হলেও ধাক্কা। বস্তুত পওয়ার এই মুহূর্তে বিরোধী শিবিরের সবচেয়ে বর্ষীয়ান নেতা। প্রায় সব প্রথম সারির বিরোধী নেতার সঙ্গেই সুসম্পর্ক রয়েছে এনসিপি সুপ্রিমোর। তিনি প্রার্থী হলে সব বিরোধীকে এক ছাতার তলায় আনার কাজটা অনেকটাই সহজ হত।
কংগ্রেসের তরফে ইতিমধ্যেই পওয়ারকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক খুবই ভাল। পওয়ার প্রার্থী হলে তিনিও সম্ভবত আপত্তি করতেন না। পওয়ারের নামে আপত্তি ছিল না তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরেরও। আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিংও এনসিপি সুপ্রিমোর সঙ্গে সম্প্রতিই দেখা করেছেন। তাতেই পওয়ারের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা জোরাল হচ্ছিল।
কিন্তু এনসিপি প্রধান নিজেই নিজেকে সরিয়ে নিলেন। এনসিপির তরফে সরকারিভাবে কংগ্রেসের প্রস্তাবের কোনও জবাব দেওয়া না হলেও দলীয় বৈঠকে পওয়ার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না। ফলে এবার বিকল্প প্রার্থীর খোঁজ করতে হবে বিরোধীদের। পওয়ারের বিকল্প হিসাবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়ার নাম শোনা যাচ্ছে কোনও কোনও মহলে। যদিও সবটাই কানাঘুষোর স্তরে আছে।
এদিকে পওয়ার নিজেকে সরিয়ে নিলেও বিহারের লালুপ্রসাদ যাদব রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই নিজের সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। এই লালুপ্রসাদ যাদব অবশ্য বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা নন। এই লালুপ্রসাদ যাদব বিহারের সারণ জেলার বাসিন্দা। পেশায় কৃষক এবং সমাজসেবী। তাঁর বক্তব্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিহারের প্রতিনিধিত্ব থাকা উচিত। তাই লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চান তিনি। এর আগে ২০১৭ সালেও মনোনয়ন পেশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রস্তাবক না মেলায় সেই মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।
Be the first to comment