রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা :- শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা; কয়েক দশক ধরে দেশবাসীকে আবহাওয়ার খবর দিয়ে চলেছে দিল্লির মৌসম ভবন। ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়ে দেশের মানুষকে সতর্ক করার জন্য প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন আবহাওয়াবিদরা। ব্রিটিশ শাসনে ১৮৭৫ সালে ১৫ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা করা হয় মৌসম ভবন (IMD)-এর। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে দেড়শো বছরের দীর্ঘ পথ অতিক্রম করেছে ভারতের মৌসম ভবন বা আইএমডি।
বিশেষ এই দিন উজ্জাপনে মঙ্গলবার ভারত মন্ডপে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আবহাওয়াবীদদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “আবহাওয়াবিদদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে মৌসম বিভাগ আজ অনেক বেশি উন্নত। ১০ বছর আগে দেশের মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষ আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানতে পারত। কিন্তু, আজ দেশের প্রতিটি মানুষ আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিমেষের মধ্যে জানতে পারেন। মেঘদূত অ্যাপের মাধ্যমে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস পেয়ে যান দেশের মানুষ। এর ফলে বর্তমানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে ৷” শুধু ভারত নয়, চিন, নেপাল, শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশি দেশগুলিও দিল্লির মৌসম ভবনের কাছে সাহায্য নিয়ে থাকে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “কোনও দেশের বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানের উন্নতি সেই দেশের মানুষের বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহের পরিচয় দেয়। গবেষণা ও আবিষ্কার নতুন ভারতের উন্নয়নে একটি অংশ। আর তার অংশ হিসেবে গত ১০ বছরে একাধিক ক্ষেত্রে মৌসম ভবনের আধুনিকরণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মহাকাশ বিজ্ঞানের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।”
এদিনের অনুষ্ঠানে, দেশকে ‘আবহাওয়া প্রস্তুত ও জলবায়ু স্মার্ট’ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘মিশন মৌসম’ প্রকল্প শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি, মৌসম ভবনের ১৫০তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে স্মারক কয়েন ও ১৫০ টাকার ডাকটিকিটের উন্মোচন করেন মোদি। সেই সঙ্গে, আবহাওয়া সংক্রান্ত স্থিতিস্থাপকতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনের জন্য আইএমডি ভিশন-২০৪৭ নথিও প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
Be the first to comment