সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জন্য প্রস্তুত গ্রামীণ যুবকদের ব্যথা-বেদনা বুঝুন। প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। শনিবার টুইটে প্রিয়াঙ্কা লেখেন, গত ৩ বছর ধরে সেনা বাহিনীতে কোনও নিয়োগ হয়নি। যে যুবকেরা সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাঁদের পায়ে ফোসকা পড়ে গিয়েছে। তাঁরা মরিয়া হয়ে বায়ুসেনায় নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছেন। তার মাঝেই সরকার পদমর্যাদা, পেনশন কেড়ে নিয়ে বাহিনীতে স্থায়ী নিয়োগ বন্ধ করে দিতে চাইছে।
এই ব্যাপারে গত ২৯ মার্চই প্রিয়াঙ্কা চিঠি দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে। এআইসিসি কেন্দ্রীয় সরকারকে সেই চিঠির কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, অগ্নিপথ ইস্যুতে সারা দেশে নিজেদের শক্তি দেখানোর লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে। রাহুল গান্ধীকে ইডির তলবকে ঘিরে যেভাবে কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নেমে পড়েছে, তাতে যথেষ্ট উজ্জীবিত কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁরা মনে করছেন, তাওয়া গরম থাকতে থাকতেই অগ্নিপথের তাজা ইস্যুকেও কাজে লাগাতে হবে এই মুহূর্তে।
মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেন। এরপরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিহার, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ডের মতো একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ক্ষুব্ধ জনতা। হরিয়ানার পালওয়ালে বিক্ষোভ রুখতে গুলি চালায় পুলিস। চাপের মুখে পড়ে ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করা হয়েছে।
অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছরের ভারতীয় তরুণ-তরুণীদের চার বছরের জন্য সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। বছরে ৪৫ হাজার তরুণ-তরুণীকে নেওয়া হবে অগ্নিপথ প্রকল্পে। মেয়াদ শেষে ২৫ শতাংশ সেনাকে সরাসরি সেনা বাহিনীতে স্থায়ী পদে যোগদান করা হবে। বাকি ৭৫ শতাংশকে এককালীন আর্থিক সাহায্য করে কার্যত বিদায় দেওয়া হবে। যা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
Be the first to comment