রোজদিন ডেস্ক:-
পুজোয় ঠাকুর দেখার ব্যাপারে ঠিক কী ভাবছেন? মানে কোথায় কোথায় যাবেন? ভিড় ঠেলে যাবেন নাকি গাড়িতে? তবে গত বারের মতো এবারও ন্যূনতম খরচায় রাজ্য পরিবহণ দফতর কলকাতায় পুজো দেখানোর ব্যবস্থা করছে। এসি বাসে চেপে পুজো দেখাবে পর্যটন দফতর। সারা রাত মহানগরীর রাস্তায় পুজো দেখতে পারবেন আপনি। আলোয় ঝলমলে শহর তার মধ্যেয়েই অন্যরকম অভিজ্ঞতা। বাস ছাড়বে রবীন্দ্র সদন থেকে।
এবছর পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের উদ্যোগে এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সহযোগিতায় তিনটে প্যাকেজ করা হয়েছে যার নাম দেওয়া হয়েছে উদ্বোধনী সার্বজনীন পুজো পরিক্রমা, সনাতনী পুজো পরিক্রমা, আর থাকছে হুগলি সফর।
আসুন দেখা যাক কোন প্যাকেজে কি কি থাকছে : উদ্বোধনী সার্বজনীন পুজো পরিক্রমা..
৬ ও ৭ অক্টোবর এই ব্যবস্থা থাকছে। রাত ১০টা থেকে ঠাকুর দেখা শুরু। এরপর শেষ হবে পরের দিন ভোর পাঁচটায়। কলকাতা নামী পুজো দেখতে পাবেন আপনি।
রবীন্দ্রসদন থেকে কলেজ স্কোয়ার, মহম্মদ আলি পার্ক, কাশী বোস লেন, বাদামতলা আষাঢ় সঙ্ঘ, ৬৬ পল্লি, মুদিয়ালি ক্লাব, শিবমন্দির, একডালিয়া এভারগ্রিন, সিংহি পার্ক, হিন্দুস্তান রোড, রাজডাঙা, নব উদয় সঙ্ঘের ঠাকুর দেখে ফের রবীন্দ্র সদন। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের উদ্যোগে এই ঠাকুর দেখার ব্যবস্থা। এই উদ্বোধনী পুজো পরিক্রমার জন্য আপনার খরচ হবে ২১৯৯ টাকা। এখানে প্যাকেজে ডিনারের ব্যবস্থাও থাকবে। রাতে আর বাড়িতে খাওয়ার ঝামেলা নেই। পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পড়লেই হল। প্রেমিকার হাত ধরেও চেপে পড়তে পারেন বাসে।
সনাতনী পুজো পরিক্রমা
এখানে আপনি কেবলমাত্র বনেদি বাড়ির পুজো দেখতে পাবেন। এই বাসও ছাড়বে রবীন্দ্র সদন থেকে। সেখান থেকে খেলাত ঘোষের বাড়ি, শোভাবাজার রাজবাড়ি, ছাতুবাবু-লাটুবাবুর বাড়ি( শুধুমাত্র সপ্তমীর সকাল) চন্দ্রবাড়ি, রাণী রাসমনির বাড়ি, ঠনঠনিয়া দত্ত বাড়ি, জোড়াসাঁকো দাঁ বাড়ির ঠাকুর দেখে ফের রবীন্দ্রসদন।
১০ এবং ১১ অক্টোবর এই ব্যবস্থা থাকছে। সকাল আটটা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই পরিক্রমা হবে। সেজেগুজে বেরিয়ে পড়লেই হবে। এই প্যাকেজে ব্রেকফাস্ট দেওয়া হবে। আর শোভাবাজার রাজবাড়ির ভোগ খাওয়ার ব্যবস্থা। খরচ মাথাপিছু ২০৯৯ টাকা।
কলকাতার পুজো মানে একেবারেই অন্যরকম। গোটা শহর উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বনেদি বাড়ির পুজোর একটা সনাতনী ঐতিহ্য আছে। দেখলেই মন ভরে যায়। তার শরিক হতে পারবেন আপনিও।
হুগলি সফর নামে আর একটা প্যাকেজও আছে
এখানে আপনি হুগলি জেলার বেশকিছু বিখ্যাত পুজো দেখতে পারবেন। এই বাসও ছাড়বে রবীন্দ্র সদন থেকে।
সেখান থেকে শ্রীরামপুর গোস্বামী বাড়ি, বুড়ি দুর্গা, শেওড়াফুলি সুরেন্দ্রনাথ ঘোষের পুজো, শেওড়াফুলি রাজবাড়ির পুজো, গুপ্তিপাড়া দূর্গাবাড়ি পুজো, গুপ্তিপাড়া সেনবাড়ির পুজো ছাড়াও হুগলির হংসেশ্বরী কালীমন্দির, আনন্দ বাসুদেব মন্দিরের মতো হুগলির বেশ কিছু বিখ্যাত মন্দির ঘুরিয়ে দেখিয়ে ফের আনা হবে রবীন্দ্রসদনে। ১০ এবং ১১ অক্টোবর এই ব্যবস্থা থাকছে। সকাল সাতটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত এই পরিক্রমা হবে। সেজেগুজে বেরিয়ে পড়লেই হবে। এই প্যাকেজে ব্রেকফাস্ট আর দুপুরের খাবারও দেওয়া হবে। খরচ মাথাপিছু ৩৬৯৯ টাকা।
কলকাতার পুজো মানে একেবারেই অন্যরকম। গোটা শহর উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে বনেদি বাড়ির পুজোর একটা সনাতনী ঐতিহ্য আছে। দেখলেই মন ভরে যায়। তার শরিক হতে পারবেন আপনিও। তাই আর দেরি কেনো চটপট লগইন করুন পশ্চিমবঙ্গ ট্যুরিজমের ওয়েবসাইট সেখান থেকে আজই বুকিং করুন এই পরিষেবা। পাশাপাশি ২৪ ঘন্টার জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। সেটি হল ১৮০০২১২১৬৫৫।
Puja Parikram in AC bus under the initiative of the state government
Be the first to comment