ভোট শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই ফের উত্তপ্ত পুরুলিয়া। শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ। আঙুল বিজেপির দিকে। ঘটনায় ৫ তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁরা পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোর তিনটে নাগাদ পুরুলিয়ার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের দলীয় কর্মীরা পতাকা ও ফেস্টুন বাঁধছিলেন। সেই সময় এলাকার বিজেপি প্রার্থী সুদীপ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর ভাই প্রদীপের দলবল গিয়ে হামলা চালায়। এটা পরিকল্পিত হামলা বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করতে, ভোটারদের ভয় দেখাতেই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা বলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ করছে।
হামলায় পাঁচ তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহন হন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ অজ্ঞান ছিলেন। আহতরা প্রত্যেকেই পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি। বিজেপির পাল্টা দাবি, পুরুলিয়ায় তাদের ভালো ফল নিশ্চিত। তৃণমূল ভয় পেয়ে নাটক করছে। এই ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। উল্লেখ্য, ভোটের আগের রাতেই পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে ভোটের কাজে ব্যবহৃত গাড়িতে রহস্যজনকভাবে আগুন লাগে। তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়।
অন্যদিকে, ভোটের আগেই রক্তাক্ত হলেন বাঁকুড়ার রানিবাঁধের বিজেপির বুথ সভাপতি। ২১৬ নম্বর বুথের সভাপতি সর্বেশ্বর সোরেনের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে আঙুল উঠেছে। বিজেপির দাবি, সর্বেশ্বর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেসময় পিছন থেকে দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। মাটিতে ফেলে তাঁকে মারধর করা হয়। স্থানীয়রাই তাঁকে উদ্ধার করে রানিবাঁধ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করান। ঘটনার খবর পেয়ে তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান বিজেপি প্রার্থী ক্ষুদিরাম টুডু। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল হেরে যাবে সেটা বুঝতে পেরেই এই ধরনের কাজ করছে।
Be the first to comment