ঘোষণা আগেই হয়ে গিয়েছিল। আর শনিবার আনুষ্ঠানিক অভিষেক হল রাহুল গান্ধীর। কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে এদিন থেকেই দায়িত্ব নিলেন তিনি। আজ সকাল থেকেই দিল্লীর ২৪, আকবর রোডে উৎসবের মেজাজ। দীর্ঘ ১৯ বছর পর কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নিলেন রাহুল।গত ১১ ডিসেম্বর, সোমবার মুল্লাপল্লি রামাচন্দ্রন সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি ঘোষণা করেন, পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন রাহুল গান্ধি। ৮৯টি মনোনয়নের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। প্রত্যেকটি বৈধ। সেখানে একজন প্রার্থীরই নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। আর সর্বসম্মতিক্রমে রাহুল গান্ধির নাম কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।কথা ছিল আজ, ১৬ ডিসেম্বর তাঁর হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হবে। সেই মতোই শনিবার সোনিয়া তনয়ের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হলো।এদিন ৪৭ বছরের রাহুল আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসের সভাপতিত্ব গ্রহণ করলেন। রাহুল নিজের বক্তৃতায় বলেন, শতাব্দীপ্রাচীন এই দলকে তরুণ করে তুলবেন তিনি। একইসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করে তাঁর মন্তব্য, বিজেপি দেশজুড়ে আগুন লাগায়, সেই আগুন নেভায় কংগ্রেস। কংগ্রেস দেশকে ২১ শতক দেখিয়েছে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবার আমাদের মধ্যযুগে নিয়ে যাচ্ছেন।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ছাড়াও দলের অনেক নেতা কর্মীরা। এদিন মনমোহন বলেন, দলকে নতুন দিশা দেখাবে রাহুল। রাহুলের নতুন যাত্রাকে অভিনন্দন। পাশাপাশি সোনিয়া গান্ধী বলেন, রাহুলের নেতৃত্বেই এগিয়ে যাবে দেশ।
দীর্ঘ ১৯ বছর কংগ্রেসের দায়িত্ব সামলানোর পর আজ সনিয়া ছাড়লেন সভানেত্রী পদ।গান্ধী পরিবারের পঞ্চম সদস্য হিসেবে কংগ্রেসের সভাপতি হলেন রাহুল।প্রসঙ্গত,২০১৩ সালের জানুয়ারিতে কংগ্রেসের সহ সভাপতি হন রাহুল। তখন থেকেই কাজ করেছেন মা সোনিয়ার সহকারী হিসেবে। কিন্তু কংগ্রেসের সভানেত্রীর বয়স এখন ৭০ ছুঁয়েছে, তাঁর শরীরও বিশেষ ভাল নেই। নিজের ওপর কাজের চাপ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন, সামনে এগিয়ে দিয়েছেন ছেলে রাহুলকে।তবে দলীয় সভানেত্রীর পদ ছাড়লেও কংগ্রেস সংসদীয় দলের সভানেত্রী হিসেবে সোনিয়া দায়িত্ব পালন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
Be the first to comment