তৃণমূলকে কাছে টানতে লোকসভায় অধীরের বদলে দলনেতা রাহুল?

Spread the love

লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। উল্লেখ্য, কংগ্রেস হাইকমান্ড মমতার বিষয়ে চিরকালই সুর নরম রেখে এসেছেন। তবে অধীর চৌধুরী বরাবরই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে গিয়েছেন তৃণমূলকে।

দেশে বর্তমানে মোদী বিরোধী মুখ বলতে মমতাকে তুলে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের তরফে। সেখানে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন রাহুল গান্ধী। এদিকে আবার ২০২৪-এর লক্ষ্যে তৃতীয় পক্ষ জোটের জল্পনা বেড়েছে। তা গঠিত হলে রাজনৈতিক ভাবে লোকসান হবে কংগ্রেসের। এদিকে বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে তৃণমূল যেভাবে উঠে এসেছে বিধানসভা নির্বাচনের পর, সেই বিষয়টিকে কুর্নিশ জানিয়েছে সব বিরোধী দলই।

তবে লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর আবার তৃণমূল বিরোধী বলে পরিচিত। যদিও বিধানসভা নির্বাচনের পর কিছুটা সুর নরম করতে দেখা গিয়েছে বহরমপুরের সাংসদকে। তবে সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের আগে মমতার সঙ্গে সখ্যতা বাড়াতে অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে লোকসভার অন্য দলনেতা বাছা হতে পারে।

অধীরের বিকল্প নাম হিসেবে উঠে আসছে রাহুল গান্ধীর নাম। তবে সোনিয়া গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী চান যাতে এই পদ রাহুল গান্ধী গ্রহণ করুন। রাহুলকে রাজি করাতেও নাকি তাঁরা উঠে পড়ে লেগেছেন। যদিও গান্ধী ক্যাম্পে সবাই নাকি এখনই চান না যে রাহুল অধীরের জায়গায় বসুক। এই বিষয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, এককালে প্রণব মুখোপাধ্যায় নিজে নাকি পরামর্শ দিয়েছিলেন যাতে রাহুল গান্ধী লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হন।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ইউপিএ সরকার ছেড়ে মমতা বেরিয়ে আসার পর থেকে কংগ্রেসের সঙ্গে আর হাত মেলাননি মমতা। যদিও এর আগে দীর্ঘদিন কংগ্রেসের সঙ্গে লড়েছেন তিনি। ২০১১ সালে বাম জমানার অবসানও কংগ্রেসের সঙ্গে মিলেই ঘটিয়েছিলেন মমতা। তবে বর্তমানে বাংলায় কংগ্রেসের ঝুলি শূন্য। এর দায় অধীরের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন অনেকেই। পাশাপাশি ২০২৪-এ বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে হটাতে হিসেবনিকেশ শুরু করেছে কংগ্রেস।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*