সুতোয় ঝুলছিল ভাগ্য। অবশেষে শুক্রবার মানহানির মামলার জেরে সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গেল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। ‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে বৃহস্পতিবারই দু’বছরের জন্য সোনিয়া তনয়কে জেলের সাজা শোনায় সুরাট আদালত। আর তারপর থেকেই চড়ছিল পারদ। সবার মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তবে কী সাংসদ পদ হারাতে চলেছেন ওয়ানাড়ের সাংসদ? আর সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার দুবছরের জেলের সাজাপ্রাপ্ত রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শুক্রবার লোকসভা সচিবালয়ের তরফে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে বৃহস্পতিবারই সোনিয়া তনয়কে ২ বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছিল সুরাট আদালত। আর তার চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুক্রবার রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। লোকসভার সচিবালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে শুক্রবার জানিয়ে দেওয়া হল, সংশোধিত জনপ্রতিনিধি আইন মেনে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হল।
আর এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অভিযোগ তুলে অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু করেছে কংগ্রেস। শুক্রবার দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে ১২টি বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে রাহুলের এমন অবস্থায় পাশে দাঁড়িয়েছে দল। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সাফ জানিয়েছেন, আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে।
Be the first to comment