দু-দিন বন্ধ থাকার পর রবিবার ফের বাংলা থেকে ভারত ন্যায় জোড়ো যাত্রা শুরু করলেন রাহুল গান্ধী। প্রশাসনের নির্দেশ মেনেই রাজ্য পুলিশ কনস্টেবলের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর দুপুর নাগাদ পদযাত্রা শুরু করলেন তিনি। এদিন কোচবিহার থেকে যাত্রা শুরু করে জলপাইগুড়ি জেলায় প্রবেশ করেছে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। শহর ঘুরে এদিনই শিলিগুড়ি পৌঁছবে রাহুল গান্ধীর ব়্যালি।
এদিন জনগণের প্রবল উন্মাদনার মধ্য দিয়ে জলপাইগুড়ি কদমতলা রোড পেরিয়ে শিলিগুড়ির দিকে প্রবেশ করে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে রাহুল গান্ধীর যাত্রাপথে প্রচুর সংখ্যক পুলিশকর্মী মোতায়েন ছিল। শেষ পর্যন্ত জলপাইগুড়ি শহরে তাঁর যাত্রাপথের কোথাও কোনও বিঘ্ন ঘটেনি। খুব ভালভাবেই ন্যায় যাত্রা করলেন রাহুল।
বাংলার উপর দিয়ে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা চললেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মিছিলে সামিল হবেন কিনা তা স্পষ্ট করেননি। এদিন দুপুরে কোচবিহারে ঢুকছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোরপাধ্যায়। যদিও তাঁর এই মিছিলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে এই মিছিলে ‘সকলকে স্বাগত’ বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
এদিন রাহুলের সঙ্গে গাড়ির উপরে বসে ছিলেন অধীর চৌধুরী। আর মিছিলের একেবারে পুরোভাগে রয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। এছাড়া বিপুল সংখ্যক মানুষ সামিল হয় রাহুলের ন্যায় যাত্রা-য়। রাস্তার পাশে বাড়িগুলির দরজা, জানলা থেকেও বহু মানুষ রাহুল গান্ধীকে হাত নাড়িয়ে স্বাগত জানায়। সবমিলিয়ে, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা ঘিরে বিপুল উন্মাদনা দেখা দেয় জলপাইগুড়ি শহরে।এদিন জলপাইগুড়িতে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় সামিল হন পাহাড়ের অন্যতম রাজনৈতিক দল হামারো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ড। শুধু পদযাত্রায় সামিল হওয়া নয়, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে সমস্ত দলকে আত্মাভিমান, ইগো ভুলে রাহুলের যাত্রায় সামিল হওয়ারও আহ্বান জানান।
Be the first to comment