মানহানি মামলায় বড় ধাক্কা খেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।’মোদি’ পদবি নিয়ে মন্তব্যের জেরে পদবি নিয়ে মানহানি মামলায় কংগ্রেস নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সুরাট আদালত। দু’বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল।সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সম্প্রতি সুরাট আদালতে মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার সাজার উপরে স্থগিতাদেশ জারির জন্য আবেদন করেছিলেন রাহুল।বৃহস্পতিবার সুরাট আদালত রাহুল গান্ধীর সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। এর ফলে আপাতত কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ ফিরে পাচ্ছেন না রাহুল।
২০১৯ সালে কর্নাটকের ভোটের প্রচারে গিয়ে রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছিলেন, ‘দেখা যাচ্ছে যাঁরাই দুর্নীতি করছেন তাঁদেরই পদবি মোদি। নীরব মোদি টাকা লুঠ করে পালিয়ে গিয়েছেন। আর যিনি তাঁকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন তিনিও একজন মোদি। দু’জনেই একই রাজ্যের।’এই মন্তব্যের পরই গুজরাটে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তিনি আদালতে বলেন, ‘মোদি’ পদবিকে রাহুল গান্ধী অপমান করেছেন।
গত ২৩ মার্চ গুজরাটের সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে ২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছিল। তারই ভিত্তিতে ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল সুরাটেরই দায়রা আদালতে আবেদন করেছিলেন রাহুল। সুরাটের ওই আদালতই রাহুলের জামিন মঞ্জুর করে। তবে রাহুলকে দোষী ঘোষণা করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মার রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি দায়রা আদালত। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়ার জন্য ফের দায়রা আদালতেই আর্জি করেছিলেন রাহুল। আজ সেই মামলারই শুনানি ছিল। তাতে রাহুল গান্ধীর আবেদন খারিজ করে আগের রায়ই বহাল রাখে আদালত।
Be the first to comment