সবে ১২ ঘণ্টা কেটেছে। গত রাতে মাঝ পথ থেকে ডেকে এনে তাঁকে যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি, আজ কিন্তু চোখমুখে তার রেশ বিন্দুমাত্র ছিল না। যন্তরমন্তরের সামনে কংগ্রেসের সত্যাগ্রহ মঞ্চ থেকে ফের একবার কেন্দ্রকে নিশানা করলেন রাহুল গান্ধী। যে ভাষায় নরেন্দ্র মোদি সরকারের ঘোষিত অগ্নিপথ প্রকল্পের বাতিলের দাবি তুললেন, তা দেখে বোঝার জো টুকু নেই ৫ দফায় ৫০ ঘণ্টার বেশি ইডি জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে তাঁকে।
সত্যাগ্রহের মঞ্চ তখন ঐক্যবদ্ধ কংগ্রেসের সভাস্থল। বক্তব্য পেশ করছেন রাহুল গান্ধী। মঞ্চে রয়েছেন বোন প্রিয়ঙ্কা, জয়রাম রমেশ, পি চিদম্বরম, মল্লিকার্জুন খাড়গে, অধীর চৌধুরী, অশোক গেহলট, ভূপেশ বাঘেল। আর মঞ্চের নীচে কয়েকশো কংগ্রেসকর্মী। রাহুল বলেলন, এই ৫০ ঘণ্টা ইডি আধিকারিকদের সামনে আমি একা বসেছিলাম না। আমার সঙ্গে ছিলেন আপনারা- কংগ্রেসকর্মীরা। তুমুল করতালিতে ফেটে পড়ল গোটা সত্যাগ্রহ স্থল।
দিন কয়েক আগেও রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। রাহুলকে দলের প্রবীণ নেতারা মানতে চান না বলেও কটাক্ষ শোনা গিয়েছে এপাশ ওপাশ থেকে। বুধবারের দুপুরে তারই উত্তর দেওয়ার যেন চেষ্টা দেখা গেল কংগ্রেসের মধ্যে। রাহুল ইস্যুতে একাট্টা গোটা দল। ইডির জিজ্ঞাসাবাদ থেকে শুরু করে মোদি সরকারের ব্যার্থতা। এক এক করে সুর চড়ালেন রাহুল। করতালি দিয়ে স্বাগত জানিয়ে চললেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।
সোনিয়া-পুত্রের কথায়, বিজেপি-নরেন্দ্র মোদির আমলে বেকারত্ব হুহু করে বেড়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। দেশের মানুষ চরম দুরাবস্থার মধ্যে রয়েছেন। কংগ্রেস এর প্রতিবাদ করছে। তাই কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের এভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা হচ্ছে। কংগ্রেস হার মানতে শেখেনি। শেষ পর্যন্ত লড়াই করব আমরা। রাহুলের হুঙ্কার পাঁচবার কেন, যত বার ডাকবে তত বার যাব। ধৈর্য বরাবরই কংগ্রেসের সঙ্গে থাকে। রাহুল বললেন, আমাকে তো ইডি আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাই করেছিলেন আপনি এত ধৈর্যের সঙ্গে কিভাবে উত্তর দিচ্ছেন। আমি বললাম, বহুদিন ধরে কংগ্রেস করছি। ধৈর্য আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে।
এরপরেই অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা করেন রাহুল বলেন, যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন মোদি। আমরা এটা চলতে দেব না। এই প্রকল্প বাতিল করতেই হবে কেন্দ্রকে।
Be the first to comment