নেপালের নাইট ক্লাবে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ভাইরাল ভিডিও নিয়ে চাপানউতোর থামার কোনও নামগন্ধ নেই। এবার এই প্রসঙ্গে সরব হলেন বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ার প্রধান অমিত মালব্য। বন্ধুর বিয়ে উপলক্ষে নেপালে গিয়েছেন রাহুল। অতীতে সেই বন্ধু একটি ভারত বিরোধী প্রতিবেদনের প্রশংসা করে টুইট করেছিলেন। সেই সময়ে তাঁর ওই টুইট নিয়ে বেশি কালি খরচ না হলেও এখন সেই পুরনো টুইট নিয়ে চর্চা হচ্ছে প্রবল। বিশেষ করে বন্ধুর বিয়েতে রাহুল গান্ধী নেপালে যাওয়ার পরেই বিতর্ক যেন মাথাচাড়া দিয়েছে। কংগ্রেস সাংসদকে খোঁচা দিতেও পিছপা হয়নি বিজেপি।
সুমনিমা উদাস নামে এক বন্ধুর বিয়েতে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী। সুমনিমার বাবা ভীম উদাস নেপালের রাষ্ট্রদূত হিসাবে মায়ানমারে নিযুক্ত ছিলেন। পেশায় সাংবাদিক সুমনিমার একটি টুইট প্রকাশ করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন অমিত মালব্য। ২০২০ সালের ওই টুইটে একটি প্রবন্ধের উল্লেখ রয়েছে। প্রবন্ধটির মূল বিষয়বস্তু, ভারতের বেশ কিছু অঞ্চল নিজেদের বলে দাবি করছে নেপালের নতুন মানচিত্র। এই প্রবন্ধের জন্য লেখককে ধন্যবাদ জানিয়ে সুমনিমা বলেছেন, “আরও অনেক দশক আগে এই পদক্ষেপ করা উচিত ছিল।” এই টুইট দেখে মালব্য প্রশ্ন তুলেছেন, “রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কেন এই ধরনের মানুষের সম্পর্ক থাকে যারা ভারতের বিভাজন সমর্থন করে?” প্রসঙ্গত, সুমনিমার হবু স্বামী নিমা মার্টিন শেরপা একজন ব্যবসায়ী। চিনেই তাঁর ব্যবসার অধিকাংশ কাজ হয়।
ভাইরাল ভিডিও দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে থাকা মেয়েটি চাউ ইয়ানকি নামে একজন চিনা কূটনৈতিক। বিজেপিও এই কথাকেই সমর্থন করেছিল। উত্তরপ্রদেশ বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ার সহ-আহ্বায়ক শশী কুমার বলেছেন, “রাহুল গান্ধী দেশের অর্থনীতি নিয়ে মন্তব্য করছেন। অথচ তিনি চিনা কুটনৈতিকের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। কংগ্রেস এর ব্যাখ্যা দিক।” বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র টুইট করেছেন, “এটা মোটেই রাহুল গান্ধীর ব্যক্তিগত বিষয় নয়। তিনি কাদের সঙ্গে পার্টি করছেন? তাঁরা কি চিনা এজেন্ট? রাহুল গান্ধী কি চিনের চাপে পড়ে সরকারের সমালোচনামূলক টুইট করেন?”
পালটা দিয়ে কংগ্রেস (Congress) মুখপাত্র জানিয়েছেন, “নরেন্দ্র মোদির মতো নিমন্ত্রণ না পেয়েও পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে কেক কাটতে যাননি রাহুল গান্ধী। নেপাল ভারতের মিত্র রাষ্ট্র। সেই দেশে বন্ধুর বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছেন তিনি। আমি যতদূর জানি, কারওর বিয়ে হওয়া বা কারওর বিয়েতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাওয়া, কোনওটাই অপরাধ নয়। হয়তো আজকের পরে প্রধানমন্ত্রী এই ধরনের কাজকে অপরাধ বলে ঘোষণা করবেন।” তবে তাতেও বিতর্ক থামছে না মোটেই।
Be the first to comment