কৃষি আইনের মতো অগ্নিপথ প্রকল্পও প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে কেন্দ্রীয় সরকার। টুইটে সরব রাহুল গান্ধী। শনিবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী লেখেন, আট বছর ধরে বিজেপি সরকার জয় জওয়ান, জয় কিষাণের অপমান করে গিয়েছে। আমি আগেই বলেছিলাম একদিন না একদিন প্রধানমন্ত্রীকে ওই কালা কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে। ঠিক সেইভাবেই মাফিবীর হয়ে দেশের যুব সম্প্রদায়ের দাবি মেনে অগ্নিবীর প্রত্যাহার করবে কেন্দ্রীয় সরকার।
দুবছর আগে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশে আন্দোলন তুঙ্গে ওঠায় পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। আন্দোলনে যখন দেশ উত্তাল, তখন আচমকাই এক সকালে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে ক্ষমাও চেয়ে নেন। মোদি বলেছিলেন, দেশের মানুষ সরকারকে ভুল বুঝেছে। আমাদেরও হয়ত ভুল হয়েছে। তবে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোদি সরকার কৃষি আউন প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছিল, আজ পর্যন্ত সেসব প্রতিশ্রুতি সরকার মানেনি বলে দাবি বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের। তারা আবার নতুন করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেন। এরপরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিহার, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ডের মতো একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ক্ষুব্ধ জনতা। হরিয়ানার পালওয়ালে বিক্ষোভ রুখতে গুলি চালায় পুলিস। চাপের মুখে পড়ে ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করা হয়েছে।
অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছরের ভারতীয় তরুণ-তরুণীদের চার বছরের জন্য সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। বছরে ৪৫ হাজার তরুণ-তরুণীকে নেওয়া হবে অগ্নিপথ প্রকল্পে। মেয়াদ শেষে ২৫ শতাংশ সেনাকে সরাসরি সেনা বাহিনীতে স্থায়ী পদে যোগদান করা হবে। বাকি ৭৫ শতাংশকে এককালীন আর্থিক সাহায্য করে কার্যত বিদায় দেওয়া হবে। যা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
Be the first to comment