দিন কয়েক আগেই ঘোষণা হয়েছিল, ভারতবর্ষের সমস্ত জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। তার মধ্যেই ধরা পড়ল এক অন্য ছবি। বহাল তবিয়তেই জেলের মধ্যে সময় কাটাচ্ছে কয়েদিরা। কেউ ফোনে মদের অর্ডার দিচ্ছে, তো কেউ টাকা চেয়ে হুমকি। আর এই ছবি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি সংশোধনাগারের। সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে জেলের মধ্যে রীতিমতো মদের আসর বসেছে। উপস্থিত আছেন জেলের দায়িত্বে থাকা কর্মীরাও। সেখানে বসেই এক কয়েদি ফোনে কাউকে মদ আনার অর্ডার দিচ্ছে। সেই মুহূর্তে তার হাতে গোঁজা সিগারেট। আবার অন্য এক কয়েদিকে দেখা যাচ্ছে জেলের ভিতর থেকে ফোনেই কাউকে টাকা চেয়ে হুমকি দিচ্ছে। বিছানায় পড়ে আছে বুলেট। এক কয়েদি তো ফোনেই বললেন, ” এটা রায়বরেলি জেল। এখানে আমরা খোলা ঘুরে বেড়ায়। ”
একটি খবরের চ্যানেলে এই ভিডিওটি দেখানো হয়। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি। শুরু হয় সমালোচনা। আর এই সমালোচনা শুরু হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওতে থাকা চার কয়েদিকে অন্য জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আইপিসি ও জেলের নিয়ম ভাঙার জন্য বেশ কিছু ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পার পাননি জেলের দায়িত্বে থাকা কর্মীরাও। প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি অরবিন্দ কুমার জানিয়েছেন, এই ঘটনা সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা জেলে তল্লাশি করেছেন। এই তল্লাশিতে ৪ টি মোবাইল ফোন ও ১ টি সিম কার্ড উদ্ধার হয়েছে। নিজেদের কর্তব্যে অবহেলা করার জন্য জেলের ৬ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে জেলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট প্রমোদ কুমার শুক্লাও রয়েছেন।
অরবিন্দ কুমার আরও জানিয়েছেন, এই সময় জেলের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্তরের সুরক্ষা ব্যবস্থা করা ও মেশিন বসানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। এর ফলে বাইরে থেকে একটা ছোট্ট জিনিসও জেলের ভেতরে ঢুকতে পারবে না। কিন্তু তার মধ্যেই রায়বরেলিতে জেলের মধ্যে এই ঘটনা সত্যি উদ্বেগজনক
Be the first to comment