রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে রবিবার দিনভর সত্যাগ্রহ পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কংগ্রেস। দেশজুড়ে ‘সংকল্প পদযাত্রা’-র ডাক দেওয়া হয়েছে। রবিবার সকালেই মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থল রাজঘাটে পৌঁছে যান জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে।পৌঁছেছেন কংগ্রেসের নেতা, মন্ত্রী থেকে সমর্থকরাও।যদিও রাজঘাটে কংগ্রেসের জমায়েতের অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
রবিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সত্যাগ্রহ পালন করবে কংগ্রেস নেতৃত্ব। দেশের নানা প্রান্তে অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। পুলিশের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও সকাল থেকেই রাজঘাটে শুরু হয়েছে সংকল্প যাত্রা।
কিন্তু কেন কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি পুলিশ? পুলিশের দাবি, কংগ্রেসের আন্দোলনের ফলে রাজধানীতে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হবে। ফলে যানজটের পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। সেই কারণেই সত্যাগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়নি। রাজঘাট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। অনুমান করা হচ্ছে, রাজঘাটে কংগ্রেসের জমায়েত এবং অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হতে পারে।
‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে বৃহস্পতিবার রাহুলকে ২ বছরের জেলের সাজা শোনায় গুজরাটের সুরাট জেলা আদালত। এরপরই ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুক্রবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। লোকসভায় রাহুলের মুখ বন্ধ করতেই তাঁকে সাংসদ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কংগ্রেসের। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনেও একই কথা জানান রাহুল নিজে। এর পরেই চড়ছে বিরোধীতার সুর।
Be the first to comment