আর মাত্র এক সপ্তাহ। তার পরই সরযূ পাড়ে রাম মন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই মেগা অনুষ্ঠানের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনছে গোটা দেশ। অন্যদিকে এই আবহে বেড়েছে রাম-সীতার রুপোর মূর্তি ও মুদ্রা বা কয়েন কেনার হিড়িক। আর তাতে বেজায় খুশি গয়না বিক্রেতারা।
দিল্লি ও উত্তর প্রদেশের অলঙ্কার ব্যবসায়ীদের দাবি, গত তিন-চার দিনে রাম-সীতার রুপোর মূর্তি ও কয়েনের চাহিদা আকাশ ছুঁয়েছে। অনেকে ফোন করে অর্ডার দিচ্ছেন। এমনকি আগাম টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার নজিরও খুব একটা কম নয়। সবচেয়ে বেশি অর্ডার আসছে অযোধ্যা, বারাণসী, প্রয়াগরাজ ও লখনউয়ের মতো যোগীরাজ্য়ের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলি থেকে। এছাড়াও গুজরাটের দ্বারকা, উতরাখণ্ডের হরিদ্বার-হৃষিকেশ ও দক্ষিণ ভারতের একাধিক মন্দির শহর থেকেও বড় সংখ্যায় অর্ডার এসেছে।
উল্লেখ্য, অলঙ্কারের দোকানে বিভিন্ন দামের রাম-সীতার রুপোর মূর্তি বিক্রি হচ্ছে। আবার অনলাইনেও এই মূর্তি পাওয়া যাচ্ছে। রামলালার সবচেয়ে ছোট রুপোর মূর্তির দাম 25 হাজার টাকা থেকে শুরু বলে জানা গিয়েছে। আবার 2 লাখ টাকা দামের মূর্তিও রয়েছে। আকার ও ডিজাইনের উপর দামের তারতম্য নির্ভর করছে। অনেকে রাম-সীতা-লক্ষ্মণ ও হনুমান সমতে মূর্তি কিনতে চাইছেন। এই ধরনের মূর্তির দাম সবচেয়ে বেশি।
অন্যদিকে রাম-সীতার রুপোর কয়েন কেনার হিড়িক কম নয়। এই ধরনের কয়েনের দাম 1500 টাকা থেকে শুরু হয়ে 5 বা 10 হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। রুপোর মুদ্রার মধ্যে রামলালা বা রাম-সীতা-লক্ষ্মণ ও হনুমানের প্রতিকৃতি খোদাই করা থাকছে।
রাম-সীতার রুপোর মূর্তি ও কয়েনের চাহিদা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় সরকারের কাছে GST ছাড়ের দাবি করেছেন গয়না ব্যবসায়ীদের একাংশ। বর্তমানে অলঙ্কারের উপর 18 শতাংশ GST নিয়ে থাকে সরকার। দিল্লির গয়না ব্যবসায়ী অনন্ত কুমার মৌর্যের কথায়, ‘সাময়িকভাবে রাম-সীতার কয়েন ও মূর্তির দামের ক্ষেত্রে করে সামান্য ছাড় দিক কেন্দ্র। তা হলে বিক্রি আরও বাড়বে। কারণ অনেকেই ইচ্ছে থাকলেও বেশি টাকা খরচ করে মূর্তি কিনতে পারছেন না।’
এছাড়া নব নির্মিত দেবালয়ের দ্বারোঘাটনের সময় যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে রাম মন্দিরের কাঠের রেপ্লিকা বিক্রির পরিমাণ। তুঙ্গে রয়েছে জয় শ্রীরাম লেখা টি-শার্ট, টুপি, প্রদীপ ও মোমবাতির ব্যবসা। মিষ্টির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে লাড্ডু।
Be the first to comment