মন্ত্রিত্বে ইস্তফা মঙ্গলেই গৃহীত হয়েছে ৷ এ বার জল্পনা বাড়ছে মেয়র পদ নিয়ে ৷ এহেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জীবন ওলটপালটের পিছনে যে সম্পর্কের কথা উঠে আসছে, তা হল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ও তার আরও নানা দিক ৷ মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয় ‘কানন’-এর এই পরিণতির জন্য সরাসরি বৈশাখীকেই কাঠগড়ায় তুলছেন শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় ৷ এক সাক্ষাৎকারে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত রত্না বলেই ফেললেন, ‘বৈশাখীকে পেলে থাপ্পড় মারব৷ বৈশাখী নিজের পরিবারে মন দিন৷ শোভনবাবুকে বলছি, বাড়ি ফিরে এস ৷’
এরপরই বৈশাখীকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘শোভনকে ফাঁসাচ্ছেন বৈশাখী ৷ ওঁর সর্বনাশের জন্য বৈশাখীই দায়ী ৷ আমার স্বামীকে কিডন্যাপ করা হয়েছে ৷’ এখন শোভনবাবুকে কী বলবেন আপনি? রত্নার উত্তর, ‘শোভনবাবুকে বলছি, বাড়ি ফিরে এস ৷ ছেলেমেয়েদের কাছে ফিরে এস ৷ ভুল হতেই পারে ৷ শুধরে নিন ৷ আমরা সবাই তাঁকে সাহায্য করব ৷’
কেন এমন হল? রত্নার কথায়, ‘এক লহমায় মাটিতে পড়লেন শোভন ৷ অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন ৷ রাজনীতি পাগল ছিলেন ৷ দেড় বছরে সব কিছু ওলটপালট হয়ে গেল ৷ সন্তানদেরও ভুলে গেলেন ৷ বৈশাখী ও তাঁর পরিবারই এর জন্য দায়ী ৷ ২২ বছরের সম্পর্ক ভেঙে দিলেন ৷ লন্ডনে থাকতেই ডিভোর্স নোটিশ পাই ৷ ফিরে এসে যোগাযোগের চেষ্টা করি ৷ পুলিশ দিয়ে আমাকে আটকানো হয় ৷ মেয়ের জন্য শোভনের কাছে যাই ৷ রাতভর ধর্না দিয়েছি শোভনের ফ্ল্যাটে ৷ হঠাত্ শোভন চলে গেলেন ৷ সন্তানরা মন থেকে মেনে নিতে পারেনি ৷ ওদের কাউন্সেলিং করাতে হয় ৷’
Be the first to comment