অতি মহামারির দুই ধাক্কায় বেসামাল দেশের আর্থিক পরিস্থিতি। কেন্দ্রীয় সরকারের রাজকোষে পড়েছে জোর টান। তার মধ্যে বেশিরভাগ রাজ্যে লকডাউনের জেরে রাজস্ব আদায় ঠেকেছে তলানিতে। কিন্তু, করোনাকালে নানা খাতে খরচ কমার বদলে বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই অবস্থায় নরেন্দ্র মোদী সরকারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। সূত্রের খবর, প্রায় ১ লক্ষ কোটি দিয়ে কেন্দ্রকে সাহায্য করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
গত অর্থবর্ষে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের যে পরিমাণ উদ্বৃত্ত হয়েছে, তার মধ্যে ৯৯ হাজার ১২২ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে জরুরি ঝুঁকিপূর্ণ বাফার রিজার্ভ ব্যাঙ্কে ৫.৫০ শতাংশ বজায় রাখা হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডিরেক্টদের ৫৮৯ তম বৈঠকে এই বড় সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়। শীর্ষ ব্যাঙ্কের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কার্যকাল নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। সেই সময় কেন্দ্রের নানা খাতে ঘাটতি মেটাতে উদ্বৃত্ত তুলে দেওয়ার বিষয়টি উপস্থাপন হয়। তখনই প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্রকে দেওয়ার বিষয়ে মনস্থির করেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডিরেক্টররা।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও এই বৈঠকে হাজির ছিলেন। ভুলে গেলে চলবে না, ২০২০ সালে এবং তার আগের অর্থবর্ষেও একাধিকবার একই ভাবে বিরাট অঙ্কের টাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। গত বছর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উদ্বৃত্তের ৪৪ শতাংশ, যা প্রায় ৫৭ হাজার ১২৮ কোটি টাকা, সেটা তুলে দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের হাতে। তার আগের বছরও রাজকোষের ঘাটতি মেটাতে ১.২০ কোটি লক্ষ টাকা দিয়ে কেন্দ্রকে সাহায্য করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গত ৩ বছর ধরেই এই প্রবণতা অব্যাহত।
Be the first to comment