তড়িৎ গতিতে পাহাড়ে চড়ে ইতিহাসটা প্রায় তৈরিই করে ফেলেছিলেন তিনি। শবরীমালা মন্দিরে ঢোকার মুখ থেকে তাঁকে সেদিন টেনে নেয় পুলিশ। সেই রেহানা ফতিমার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল কেরল হাই কোর্ট।
ফতিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি নাকি ভগবান আয়াপ্পাকে অপমান করেছেন। ধার্মিক ভাবধারায় জোরদার আঘাত দিয়ে ট্যুইটও করেছেন। ফতিমার বিরুদ্ধে এই ধরণের নানা রকম অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করে শবরীমালা বাঁচাও কমিটি।নিজের কথায় অনড় থেকে ফতিমাও লড়বেন বলে জানান। সেই মতোই কেরল হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন তিনি।শুক্রবার সেই আবেদনই খারিজ করল আদালত।
অক্টোবরে শবরীমালা মন্দিরের দরজা খোলার পরই ফতিমা সহ আরও ১ তেলেগু মহিলা সাংবাদিক মন্দিরে প্রথম ঢোকার চেষ্টা করেন। প্রবেশদ্বারের ৫ হাত দূরে ছিলেন ফতিমা, সেখান থেকেই তাঁকে ধরে নিয়েছিল কেরল পুলিশ। এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সামনে পড়তে হয় ফতিমাকে। জবাবও দিয়ে জান সোশ্যাল সাইটে।
নিজের কর্মস্থলে ফতিমাকে সবচেয়ে বড় ধাক্কার মুখে পড়তে হয় । বিএসএনএলে কর্মরত ফতিমাকে কেরল থেকে স্থানান্তর করে দেওয়া হয়। দেবতা আয়াপ্পাকে অপমান করার অভিযোগে কেরল মুসলিম জামাত কাউন্সিলও তাঁকে বহিষ্কার করে। এহেন পরিস্থিতিতে পুরোপুরি একা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বলেই মনে করছেন আন্দোলনকারী এই তরুণী। উঠিয়ে নিয়েছেন নিজের ট্যুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টও।
Be the first to comment