রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- অবশেষে শেষ বিচারপ্রক্রিয়া। নতুন বছরের চলতি মাসের ১৮ তারিখ আর জি কর ধর্ষণ ও খুন মামলায় রায়দান করবেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক। ওইদিনই সাজা ঘোষণার সম্ভাবনা।
বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর ৬০ দিনের মাথায় এই রায় ঘোষণা করা হবে। গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে এক কর্তব্যরত তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি সেই রাতে হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলেন। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলা। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। এরপর হাইকোর্টের রায়ে কলকাতা পুলিশের বদলে তদন্তের দায়ীত্ব পায় সিবিআই। সিবিআই তদন্ত করেও সঞ্জয় রায়কেই একমাত্র দোষী বলে চার্জশিট দেয়। সেই মামলায় টানা সওয়াল জবাব আজ শেষ হয়। জানা গেছে, আদালত আগামী ১৮ জানুয়ারি দুপুর ২.৩০ মিনিটে রায়দান করবে শিয়ালদা আদালত।
যদিও প্রথমে পুলিশ ও পরে সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। তাঁদের দাবি, ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে, তবে তাদের আড়াল করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সিবিআই সময়ে চার্জশিট দাখিল না করতে পারায় ইতিমধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন আরজি কর কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তারপরই পুনরায় বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতার মা-বাবা। আদালতে সেই মামলা এখন বিচারাধীন।
আরজি করের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ শুধু নয় দেশ ও বিশ্বজুড়ে আন্দোলন হয়। সাম্প্রতিক কোনও ঘটনার প্রতিবাদে এই ভাবে সাধারণ মানুষের জড়িয়ে পড়া নজিরবিহীন। আন্দোলনে পথে নামেন রাজ্যের বিভিন্ন কলেজের জুনিয়ার ডাক্তাররা। টানা আন্দোলনে সরে যেতে হয় কলকাতার পুলিশ কমিশনার সহ অন্য পুলিশকর্তা ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। এই ঘটনার সঙ্গে সামনে চলে আসে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগ। একই সঙ্গে বেলাগাম দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে। দুর্নীতি ও তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। প্রমাণ লোপাটে পরে গ্রেফতার করা হয় টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। যদিও প্রমাণ লোপাটের ঘটনায় ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল দু’জনেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিবিআইও একমাত্র সঞ্জয় রায়কেই দোষী বলে চার্জশিট পেশ করে।
Be the first to comment