মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের তিনদিনের মাথায় দ্বিতীয়বার রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে এখনও কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নেই। ডাক্তারদের সাফ কথা, ভয়ের পরিবেশ দূর না হলে কাজ যোগ দেবেন না তাঁরা। বৈঠকের প্রতি মুহূর্তের খবর জানতে চোখ রাখুন রোজদিনের লাইভ আপডেটে (LIVE UPDATE)।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১:০৫ : নবান্ন থেকে বেরিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভস্থলে ফিরে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেখানে গিয়ে তাঁরা নিজেদের মধ্যে ফের বৈঠক করবেন।
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪:৪৮ : দীর্ঘ ৬ ঘন্টা বৈঠকের পরেও মিলল না সমাধান সূত্র। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর নবান্ন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনিকেত মাহাতো বলেন, “আন্দোলনের ৪০ দিনের মাথায় এসে স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ ও বাকি দুই দাবিতে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক ছিল আমাদের। সব দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কার্যবিবরণী নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে কিছু জায়গায় সহমত তৈরি হয়নি। বৈঠকের মিনিটস দেননি মুখ্যসচিব, শুধু মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আমাদের সব দাবিগুলিকে ফের খসড়া আকারে বৃহস্পতিবার পাঠাতে বলেছেন। আমরা কাজে ফিরতে চাই। কিন্তু কিছু বিষয়ে সমাধানসূত্র বেরোয়নি। যত ক্ষণ না দাবি পূরণ হচ্ছে আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।”
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪:৩০ : মধ্য রাতে নবান্ন সভাঘর থেকে বেরোলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। নবান্নের বাইরে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তাঁরা
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:১০ : রাজ্য দুটি দাবি মেনে নিলেও কর্মবিরতির অবস্থানে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার বৈঠকের পরে আন্দোলনরত ডাক্তারদের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, সরকারের তরফে সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি বা স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না তাঁরা।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:০০ : জুনিয়র ডাক্তারদের দুটি দাবি মেনে নিল রাজ্য। চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতির পাশাপাশি নিরাপত্তা দেওয়া, এবং থ্রেট কালচার বন্ধের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে সহমত হয়েছে রাজ্য। তবে এই দাবিগুলো কার্যকর করতে কিছুটা সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৫০ : বৈঠক শেষ হলেও কার্যবিবরণী লেখার কাজ চলছে। নবান্নের সভাঘরে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরা। তাঁরা কার্যবিবরণী লেখার জন্য স্টেনোগ্রাফার নিয়ে গিয়েছিলেন।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১:৪০ : প্রায় দু’ঘন্টা পর মুখ্যসচিবের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক শেষ হলো। তবে চিকিৎসকেরা এখনো নবান্ন সভাঘরে।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৮ : নবান্ন সভাঘরে বৈঠক শুরু। বৈঠকে রয়েছেন মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৪ : মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের জন্য নবান্নের সভাঘরে ঢুকছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:২৫ : বুধবার নবান্নেও স্টেনোগ্রাফার নিয়ে যাওয়া হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে। বৈঠকের কার্যবিবরণী লেখার কাজ করবেন তাঁরা।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:২০ : নবান্নের সামনে পৌঁছালো জুনিয়র চিকিৎসকদের বাস। এক ঘন্টা দেরিতে পৌঁছালেন চিকিৎসকেরা।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:০৬ : জুনিয়র ডাক্তারদের বাস নবান্নের উদ্দেশে এগোচ্ছে। এজেসি বোস রোড উড়ালপুলে রয়েছে বাস।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৬ : টেকনো ইন্ডিয়ার সামনে থেকে নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দিল জুনিয়র চিকিৎসক দের বাস।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:২৬ : স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বাস পৌঁছে গিয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারেরা একে একে বাসে উঠছেন। ৩০ জন প্রতিনিধি নবান্নের বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:১৮ : ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, এই সমস্ত দাবি নিয়ে সরকারের থেকে সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া তাঁরা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান এবং কর্মবিরতির প্রশ্নে কোনও পদক্ষেপ করতে পারছেন না।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:১৫ : তাঁদের প্রথম দাবি— প্রতিটি মেডিকাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য আলাদা রেস্ট রুম, আলাদা শৌচাগার, প্রতিটি রেস্ট রুমের সামনে সিসিটিভি, যথাযথ নিরাপত্তাকর্মী, প্রতিটি অন কল রুমে প্যানিক বাটন, প্রতিটি হাসপাতালের ফাঁড়িতে নির্দিষ্ট সংখ্যায় নারী পুলিশকর্মী নিয়োগ। হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলিতে যৌন হেনস্থা প্রতিরোধে আইসিসি গঠন করা। কলেজ স্তরে এই দাবিগুলিকে রূপায়ণ করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে কলেজভিত্তিক টাস্ক ফোর্স গঠন করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। টাস্ক ফোর্সে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিত্ব রাখার দাবিও জানানো হয়েছে। এছাড়াও জুনিয়র ডাক্তারদের দ্বিতীয় দাবি, একটি কেন্দ্রীয় ‘রেফারাল সিস্টেম’ গড়ে তোলা। যাতে প্রতিটি হাসপাতালে কোন বিভাগে কোন সময়ে ক’টি বেড খালি আছে, সেই তথ্য সকলে জানতে পারেন। এতে রোগীদের হয়রানি বন্ধ করা যাবে, নির্মূল হবে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে গড়ে ওঠা দালালচক্র। এ ছাড়া তাঁদের দাবি, প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে যথাযথ সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করতে হবে। চুক্তিভিত্তিক কর্মীর বদলে স্থায়ী কর্মী নিয়োগ করতে হবে। সমস্ত স্তরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোকে ঢেলে সাজাতে হবে, রক্তপরীক্ষা থেকে অন্যান্য যাবতীয় পরীক্ষানিরীক্ষার পরিকাঠামো যথাযথ ভাবে গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিত্ব-সহ টাস্ক ফোর্স গড়ার দাবিও জানানো হয়েছে। ডাক্তারদের তৃতীয় দাবি, প্রতিটি কলেজে ভয়ের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। প্রতিটি কলেজে এই ধরনের ঘটনা যাঁরা ঘটিয়েছেন, ঘটিয়ে চলেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গড়তে হবে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য স্তরে বিশেষ কমিটি গড়তে হবে। এই কমিটিগুলিতে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতে হবে। ডাক্তারেরা আরও বলেন, ‘‘শুধুমাত্র যাঁরা বিভিন্ন কলেজে এই কাজগুলি করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন প্রতিটি হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে গণতান্ত্রিক পরিসরকে বিস্তৃত করা। এর জন্য সব ক’টি মেডিক্যাল কলেজে রেসিডেন্ট ডক্টরস’ অ্যাসোসিয়েশনগুলিকে স্বীকৃতি দিতে হবে, প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে স্টুডেন্ট ইউনিয়ন নির্বাচন করাতে হবে। প্রতিটি কলেজ এবং হাসপাতালের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কমিটিতে (কলেজ কাউন্সিল, রোগী কল্যাণ সমিতি) নির্বাচিত জুনিয়র ডাক্তার/ ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতে হবে। হাউস স্টাফশিপ নিয়োগের ক্ষেত্রে শাসকদলের যে ব্যাপক দুর্নীতি প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে চলে, তা বন্ধ করতে হবে। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্য ভবন থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, ডাক্তার নিয়োগ করতে হবে। বর্তমানে এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে যে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ চলে, তা বন্ধ করতে হবে।’’
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:১০ : নবান্নের বৈঠকের আগে সাংবাদিক বৈঠক করছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁরা তাঁদের দাবিগুলি ব্যাখ্যা করছেন।
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:০০ : নবান্নে বৈঠকে যাবার আগে জুনিয়র চিকিৎসকদের জেনারেল বডির বৈঠক শেষ হল।
Be the first to comment