অমৃতা ঘোষ:-
আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার ধর্ষণ ও হত্যাকে ঘিরে বেরিয়ে এলো নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। আজ গোটা কলকাতায় নির্যাতিতার বিচার চেয়ে পুনরায় শুরু হয় রাত দখলের অভিযান। আবারো গোটা কলকাতা ও সম্পূর্ণ আরজি কর নির্যাতিতার বিচার চেয়ে বুধবার রাত্রিতে এক ঘন্টা আলো নিভিয়ে প্রতিবাদে একজোট হয়। বুধবার এই রাত দখলের অভিযানকে সমর্থন করতে আরজি করে পৌঁছে যান নির্যাতিতার বাবা ও মা।
সেখান থেকেই নির্যাতিতার বাবা সংবাদমাধ্যমে বলেন তাঁর মেয়ের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর যখন তারা মেয়ের মুখ দেখতে চান তাদেরকে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা অপেক্ষা করানো হয়। এমনকি তাদের মেয়ের অন্তিম ক্রিয়াকেও চট জলদি সেরে ফেলা হয়। নির্যাতিতার বাবার কথায়, তাঁরা দেহ রাখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রায় ৩০০ ৪০০ জন পুলিশ তাদের ঘিরে রেখেছিল যার ফলে তারা দাহ করতে বাধ্য হন। শুধু তাই নয়, এক সাংবাদিক বৈঠকে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় মিথ্যাচার প্রচার করছেন বলেও
তাঁরা অভিযোগ তোলেন।
নির্যাতিতা তরুনীর বাবার দাবি , তাদের মেয়ের দেহ ঘরে থাকাকালীন তাদেরকে নানাভাবে পুলিশ টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
নির্যাতিতার বাবার প্রশ্ন , কিসের এত তারা ছিল যার জন্য তাদের ওপর প্রচন্ড চাপ দেয়া হয় দেহ দাহ করার জন্য? তাহলে কি এর পেছনে কোন অনেক বড় রহস্য রয়েছে লুকিয়ে?
এর আগে তারা অভিযোগ করেছিলেন, যেদিন তাদের মেয়ে মারা যান সেই দিন হাসপাতাল থেকে তাদের কাছে তিনটি ফোন করা হয়েছিল। কখনো তাদেরকে বলা হয় তাদের মেয়ে অসুস্থ আবার কখনো বলা হয়, তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে এমনটাই অভিযোগ করছেন মৃত চিকিৎসকের বাবা।
মৃত চিকিৎসকের পরিবারের দাবি পুলিশ যেন তাদের মেয়ের দেহ হাইজ্যাক করার চেষ্টা করে।
তারা বলেন মেডিকেল টেস্ট এর আগেই কিভাবে আত্মহত্যা কথা বলেন? তাদের দাবি তাদের বারবার করে বাধা দেওয়া হয় মৃত চিকিৎসকের দেহ শনাক্তকরনের জন্য। মৃতার বাবা এও বলেন হাসপাতালে পুলিশ তাদেরকে জোর করে সাদা কাগজে সই করানোরও চেষ্টা করে।
তারা সম্পূর্ণ পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
Be the first to comment