মধ্য কলকাতার মুচিপাড়ায় বাড়ছে উত্তেজনা। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। মুচিপাড়ায় স্থানীয় এসএমবি ক্লাবে চলল দেদার ভাঙচুর। বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে গ্রেপ্তার করল মুচিপাড়া থানার পুলিশ। দরজা ভেঙে বিজেপি নেতা সজল ঘোষের বাড়িতে প্রবেশ করে মুচিপাড়া থানার পুলিশ। লাথি মেরে সজল ঘোষের বাড়ির দরজা ভেঙে দেয় পুলিশ। বাড়ির ভিতর থেকে সজল ঘোষকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনল পুলিশ। সেইসময় সজল ঘোষের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বাবা প্রদীপ ঘোষ।
প্রদীপ ঘোষ একসময় উত্তর কলকাতার দাপুটে নেতা ছিলেন। এই মুহূর্তে মুচিপাড়া থানার ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সজল ঘোষকে। থানার বাইরে চলছে তৃণমূলের বিক্ষোভ। সজল ঘোষের কথায়, ‘বিনা অপরাধে আমায় গ্রেপ্তার করল পুলিশ। অন্যায়ভাবে আমার বাড়ির দরজা ভাঙল পুলিশ। চক্রান্ত করে রাজনৈতিক ভাবে আমায় ফাঁসাচ্ছে তৃণমূল। এলাকার বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার করছে তৃণমূলের লোকজন। অথচ আমায় বিনা কারণে গ্রেপ্তার করল।’
পাল্টা তৃণমূলের তরফে সজল ঘোষের বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, তৃণমূলের যুব নেতা অভিষেক দাসের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। সজল ঘোষের নেতৃত্বে করা হয়েছে এই কাজ। আর স্থানীয় ক্লাবেও ভাঙচুর চালিয়েছে সজল ঘোষ ও তাঁর অনুগামীরা। সজল ঘোষরা নিজেরাই ক্লাব ভেঙে তৃণমূলের নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। আসলে স্বাধীনতা দিবস পালনের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে এলাকায় ঝামেলা বেঁধে। তার জেরেই ঝামেলার সূত্রপাত।
পুলিশের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দু’টি এফআইআর করা হয়েছে ৷ তাতে সজল ঘোষের নাম থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ সজল ঘোষের পাল্টা দাবি, ক্লাব ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি অভিযোগ জানাতে মুচিপাড়া থানায় গেলেও অভিযোগ নেয়নি পুলিশ ৷ উল্টে তাঁকে গ্রেফতারের তোড়জোড় করা হয় ৷ তাই তিনি বাড়ি ফিরে আসেন ৷
Be the first to comment