১৯৮৪-র শিখ দাঙ্গায় অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমারকে সোমবারই দিল্লি হাইকোর্ট দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। আত্মসমর্পণ করার জন্য সময়ও বেঁধে দেয় আদালত। সেই সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৭৩ বছর বয়সী সজ্জন। কিন্তু শুক্রবার তা খারিজ করে দিল আদালত। জানিয়ে দিল, যে সময়সমীমা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যেই আত্মসপর্পণ করকে হবে তাঁকে।
২০১৩ সালে দিল্লির এক আদালত শিখ দাঙ্গার মামলা থেকে রেহাই দিয়েছিল বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাকে। কিন্তু হাইকোর্টে সজ্জন কুমারের খালাসের বিরুদ্ধে আবেদন করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। তাদের বক্তব্য ছিল, পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ইন্ধন দিয়েছিলেন সজ্জন। একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে শেষ করে ফেলাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল। গত বছর ২৯ মার্চ খোক্কর ও যাদব সহ ১১ জন অভিযুক্তকে নোটিস পাঠায় হাইকোর্ট । শিখ দাঙ্গার যে পাঁচটি মামলার নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছিল, তা ফের চালু হয়।
১৯৮৪-র ৩১ অক্টোবর দুই শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে নিহত হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এরপরই দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শিখ নিধন যজ্ঞ শুরু হয়। অভিযোগ, অধিকাংশ জায়গাতেই এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতারা।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরের দিনই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে চিঠি লিখে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সজ্জন। তারপর আত্মসমর্পণের মেয়াদ বারানোর জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন আদালতে। কিন্তু তা খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। ফলে ১৭ তারিখের রায় অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই আত্মসমর্পণ করতে হবে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদকে।
Be the first to comment