ফের শহরে মা ও মেয়ের রহস্যমৃত্যু। ঘর থেকে উদ্ধার দেহ। প্রাথমিকভাবে অনুমান, কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা। যদিও এখনও বিষয়টা স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সল্টলেকে।
জানা গিয়েছে, সল্টলেকের সিডি ব্লকের ১৭৫ নম্বর বাড়িতে থাকতেন সুপর্ণাদেবী ও তাঁর মেয়ে স্নেহা। কিছুদিন আগে মৃত্যু হয়েছে সুপর্ণাদেবীর স্বামীর। এদিকে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন স্নেহা। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন দু’জনেই। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকালে সুপর্ণাদেবীর বাড়ির তিনতলা থেকে হু হু করে জল বেরতে দেখেন স্থানীয়রা। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা সুপর্ণাদেবীদের ডাকাডাকি করে, কিন্তু সাড়া মেলেনি। এরপরই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় কাউন্সিলরকে।
খবর পেয়েই পুলিশ সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান কাউন্সিলর। দরজা ভাঙতেই উদ্ধার হয় সুপর্ণা ও স্নেহার দেহ। পাশেই মিলেছে বিষের শিশি। পাওয়া গিয়েছে সুইসাইড নোট। ইতিমধ্যেই দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুরু করা হয়েছে তদন্ত। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, চূড়ান্ত অবসাদ থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মা ও মেয়ে।
কী লেখা ছিল সুইসাইড নোটে ? জানা গিয়েছে, ওই নোটে প্রতিবেশীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করার আবেদন করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছেন মৃতদের প্রতিবেশীরা।
Be the first to comment