রবিবার জমি দুর্নীতি মামলায় দিনভর শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকে জেরা করে ইডি। এরপর বিকেল ৪টে নাগাদ তাঁকে আটক করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। একইসঙ্গে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ইডি। টানা ৬ ঘন্টা জেরার পর গভীর রাতে ইডি গ্রেফতার করে শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতকে। সোমবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
আর্থিক তছরুপ মামলায় দু’বার সমন পেয়েও যাননি তিনি৷ তাই ৩১ জুলাই, রবিবার সকাল ৭টা নাগাদ সকালে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের বাড়ি পৌঁছন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা৷ সঙ্গে নিয়ে যান আধাসামরিক বাহিনীকে। মুম্বইয়ের বান্দুপ এলাকায় বাড়ি শিবসেনা সাংসদের। এদিন ইডির আধিকারিকরা ভিতরে ঢুকতেই বাড়ি ঘিরে ফেলে সিআরপিএফ। এর কিছুক্ষণ বাদে টুইট করেন সঞ্জয় রাউত। লেখেন, ‘মিথ্যা প্রমাণের ভিত্তিতে মিথ্যা অভিযান৷ মরে গেলেও আত্মসমর্পণ করব না। শিবসেনা ছাড়ব না। কোনও কেলেঙ্কারিতে আমি জড়িত নই। শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরের নামে শপথ নিয়ে কথাগুলি বলছি। বালাসাহেব আমাদের লড়াই করা শিখিয়েছেন। শিবসেনার জন্য লড়াই আমি চালিয়ে যাব।’
গত ১ জুলাই তিনি ইডি দফতরেও গিয়েছিলেন। সেবার ১০ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করে ইডি৷ গত ২০ জুলাই আবারও সঞ্জয়কে তলব করা হয়। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। এরপর ২৭ জুলাই ডাকা হলে সংসদের অধিবেশনে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে ইডির দফতরমুখো হননি সঞ্জয় রাউত৷ তবে, ৭ অগস্টের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর আগেই রবিবার ইডি তাঁকে আটক করে।
সঞ্জয় রাউতের বাড়িতে ইডির হানার খবরের পরই তাঁর বাসভবনের সামনে জড়ো হন অনুগামীরা। তাঁরা বিজেপি বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন পাত্র চওল জমি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে সঞ্জয় রাউতের। অভিযোগ, ওই দুর্নীতিতে শিবসেনা সাংসদ, তাঁর স্ত্রী বর্ষা এবং কাছের কয়েকজন ব্যক্তি জড়িত। এই মামলাতে ইডি আগে একাধিকবার ডেকে পাঠিয়েছিল সঞ্জয় রাউতকে।
Be the first to comment