কলকাতা পুলিশকে ধন্দে ফেলে দিতেই আচমকা মিছিলের রুট বদল করলো বিজেপি। সোমবার প্রথমে হিন্দ সিনেমা হল থেকে নির্মল চন্দ্র স্ট্রিট দিয়ে কলকাতা পুরসভার দিকে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু, পরে গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউ হয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ দিয়ে মিছিল ধর্মতলার অভিমুখে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই অংশের মিছিলের নেতৃত্বে রয়েছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুদার ও রাহুল সিনহা। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে মিছিল উঠতেই পুলিশ তাঁদের পথ আটকায়। পুলিশের সঙ্গে শুরুতেই ধস্তাধস্তি বেধে যায়। একাধিক বিজেপি কর্মী-সমর্থকে গ্রেফতার করে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে সায়ন্তন বসু, অগ্নিমিত্রা পলকেও।
চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনের কাছে বাসে তোলা হল বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে। বিজেপি বিধায়কদের টেনে হিঁচড়ে বাসে তোলার অভিযোগ উঠেছে। একজন মহিলা কর্মী ঘটনাস্থলে অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। চাঁদনি চক, গণেশ অ্যাভিনিউয়ের কাছে ব্যারিকেড আগলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে পুলিশকে। মিছিলে রয়েছেন রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদার, রাজু বন্দোপাধ্যায়। নির্দিষ্ট রুট বদলে ফেলার খানিকটা হতচকিত হয়ে পড়ে পুলিশ।
যদিও পরে মিছিলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেন পুলিশ আধিকারিকরা। অভিযান রুখতে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতেই মিছিল ছত্রভঙ্গ করে একাধিক বিক্ষোভকারীকে প্রিজন ভ্যানে তুলে লালবাজারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের অনুমতি না মিললেও কার্যত জোর করেই অভিযান চালাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। পালটা প্রস্তুত ছিল লালবাজারও।
বিজেপিকে রুখতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে কলকাতা পুলিশ। বাছাই করা অফিসার থাকছেন রাস্তায়। জলকামান থেকে শুরু করে স্টিলেক ব্যারিকেড, জায়গায় জায়গায় পিকেটিং। একইসঙ্গে আবার গান্ধীগিরির অস্ত্রও হাতে রেখেছিলেন অফিসাররা। প্রয়োজনে নরমে-গরমে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানা গিয়েছে লালবাজার সূত্রে। এদিন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে ধুন্ধুমার শুরু হলেও পরবর্তীতে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
Be the first to comment