রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- গোয়ালপোখর থানার পুলিশের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় নিহত প্রধান অভিযুক্ত সাজ্জাক আলম। শনিবার কাকভোরে কিচকটোলা সেতুর উপর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের নজরে আসে সাজ্জাক। সূত্রের খবর, সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় করে, সেই সময় তাঁকে আটকাতে পুলিশ গুলি চালায়। গুলিতে গুরুতর জখম হয় বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় লোধন গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার ভোরে চোপড়া সীমান্তে পৌঁছয় উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে সাজ্জাককে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পুলিশের হাত ছাড়িয়ে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সাজ্জাকের গায়ে তিনটি গুলি লাগে। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানে তাঁর চিকিৎসা শুরু হলেও শনিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিট নাগাদ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাজ্জাককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। গুলি লেগেছিল তাঁর বাঁ কাঁধে, পিঠে এবং পায়ে।
গত বুধবার ইসলামপুর আদালত থেকে রায়গঞ্জ আনা হচ্ছিল সাজ্জাককে। সেই সময়, গোয়ালপোখর থানার ইকরচোলা গ্রামে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে দুই পুলিশকর্মীকে গুলি করে পালিয়ে যায় সে। গুলিতে গুরুতর জখম হন নীলকান্ত সরকার ও দেবেন বৈশ্য। দু’জনেই করণদিঘি থানায় কর্মরত। নীলকান্ত সরকারের পেটে দু’টো ও দেবেন বৈশ্যর ডানদিকের পাঁজরের নীচে একটি গুলি লাগে। বুধবার রাতেই ওই দুই পুলিশকর্মীর অস্ত্রোপচার করা হয়। ওই দুই পুলিশকর্মীকে দেখতে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সেখান থেকে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ‘‘এর জবাব আমরা দেব। আমরা সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকি। কিন্তু পুলিশ ফোর্সের উপরে কেউ একটা গুলি চালালে আমরা চারটে গুলি চালাব।’’
Be the first to comment