সেকেন্দ্রাবাদে অগ্নিপথ আন্দোলনে পুলিসের গুলি; হত ১, জখম ১০

Spread the love

সেকেন্দ্রাবাদে অগ্নিপথ আন্দোলনে পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হল এক প্রতিবাদীর। জখম আরও আটজন। এর আগে তেলেঙ্গনা স্টেশনে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে বিক্ষোভকারীদের। পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর বৃষ্টি হয়। পুলিস লাঠি চালিয়েও বিক্ষোভকারীদের বাগে আনতে পারেনি। এরপর ১৫ রাউন্ড গুলি চালায় পুলিস। সেই গুলিতেই মৃত্য হয় এক যুবকের। জখম হয়েছেন দুজন পুলিস কনস্টেবলও।

এদিন সকাল থেকেই সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে প্রতিবাদী যুবকেরা। ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তিনটি ট্রেনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় পুলিসবাহিনীকে। বিক্ষুভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলিও চালাতে বাধ্য হয় পুলিস। সূত্রের খবর, ওই গুলিতেই এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন ১৫ জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম দামোদর রাকেশ। তিনি তেলঙ্গানার ওয়ারেঙ্গালের বাসিন্দা। সকাল থেকেই সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনে কেন্দ্রের প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ রাকেশ। হঠাৎই পুলিসের গুলিতে আহত হন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত রাকেশকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষমা করেন।

মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেন। এরপরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিহার, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ডের মতো একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ক্ষুব্ধ জনতা। এবার দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও বিতর্কের আঁচ পৌঁছে গেল। এই প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছরের ভারতীয় তরুণ-তরুণীদের চার বছরের জন্য সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। বছরে ৪৫ হাজার তরুণ-তরুণীকে নেওয়া হবে অগ্নিপথ প্রকল্পে। মেয়াদ শেষে ২৫ শতাংশ সেনাকে সরাসরি সেনা বাহিনীতে স্থায়ী পদে যোগদান করা হবে। বাকি ৭৫ শতাংশকে এককালীন আর্থিক সাহায্য করে কার্যত বিদায় দেওয়া হবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*