সিতাইয়ে উদ্ধার বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। মৃতের নাম অনিল বর্মন। অভিযোগ,গতরাতে ওই বিজেপি কর্মী তিনি বাড়ি ফেরেননি। এরপরেই পরিবারের লোকেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে। রবিবার সকালে বাড়ির সামনে এক জঙ্গল থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এদিকে ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সিতাই থানায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে, জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। অভিযোগ, ভোটের ফল ঘোষণার পরেই অনিল বর্মনের বাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়ি ছাড়া ছিলেন তিনি, দাবি পরিবারের।
ইতিমধ্যেই তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা জানান, তৃণমূল নেতারা অনিল বর্মনকে হুমকি দিচ্ছিল ভোটের পর থেকেই। তার বাড়ির উপর হামলাও হয়। গত রাতে তাঁকে খুন করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই কাজ করা হয়েছে, দাবি তাঁর। এদিকে এই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সিতাই এর বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া। তাঁর দাবি, অনিল বর্মন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তাই হয়ত আত্মহত্যা করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই পুলিশ এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করুক। তবে সিতাইয়ে কোনও তৃণমূল নেতা হিংসার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।’
মৃতের ভাই নিখিল বর্মন জানান, এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা তাঁরা জানেন না। এই মৃত্যুর পেছনে রাজনৈতিক কারণ আছে কিনা তাও স্পষ্ট নয়। এদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের দাবি, গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তের সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। এদিকে নিখিল বর্মনের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন BJP-র জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা।
Be the first to comment