অমরনাথে আটকে বাংলার ৭২ জন পুণ্যার্থী। তাঁদের মধ্যে জলপাইগুড়ির ২২ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫ জন (একজন মৃত), হাওড়ার ১২ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরের ১০ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরের ৭ জন, কলকাতার ৫ জন এবং বাঁকুড়া ও বীরভূমের একজন রয়েছেন। নবান্ন সূত্রে খবর, কন্ট্রোল রুমে যারা ফোন করেছেন, তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ৭২ জনের আটকে থাকার খবর মিলেছে৷ অমরনাথে আটকে থাকা রাজ্যের বাসিন্দাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।
অমরনাথে আটকে থাকা পুণ্যার্থীদের জন্য শনিবারই হেল্পলাইন চালু করেছে রাজ্য প্রশাসন। টুইটে অমরনাথের দুর্ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘অমরনাথের দুর্ঘটনায় আমি শোকাহত। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আটকে পড়া পুণ্যার্থী ও তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। নবান্নে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে (০৩৩-২২১৪৫২৬), তীর্থযাত্রীদের উদ্ধারের জন্য জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।
শুক্রবার অমরনাথে নিম্ন গুহার কাছে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে পুণ্যার্থীদের অন্তত ২৫টি শিবির ভেসে যায়। মৃত্যু হয় ১৬ জনের। ঘটনার পরেই উদ্ধারকাজে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, আইটিবিপি, বায়ুসেনা এবং স্থানীয় পুলিস। জখম হন অনেকে। তাঁদের হেলিকপ্টারে করে শ্রীনগরে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জম্মু-কাশ্মীর পুলিস সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে তিন বাহিনী।
Be the first to comment