আগামিকাল পাহাড়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক আগেই পাহাড়ে তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর পদ ছাড়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন শান্তা ছেত্রী, এমনটাই খবর। এই মর্মে জেলা নেতৃত্বকে তিনি চিঠিও পাঠিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও গোটা বিষয়টা ভুয়ো বলেই দাবি শান্তা ছেত্রীর।
শান্তা ছেত্রীর সঙ্গে কোনওদিনই সম্পর্ক মধুর ছিল না অনীত থাপা ও তাঁর দলের। একাধিকবার প্রকাশ্যে মনোমালিন্যও হয়েছে। পরবর্তীতে পাহাড়ে গিয়ে ভরা সভায় শান্তা ছেত্রীকে একাধিক ইস্যুতে বকাবকিও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় পাহাড়ে কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল অনীত থাপা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন শান্তার নামে। তার জেরেই নাকি ধমক। সেই থেকেই নাকি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন শান্তা।
এদিকে সদ্যই জিটিএ নির্বাচন হয়েছে। কয়েকটি আসন পেয়েছে তৃণমূল। তবে তাতে কৃতিত্ব দেওয়া হয়নি শান্তাকে। এরই মাঝে দল ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশের খবর ছড়িয়ে পড়ে। যা স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। কেন দল ছাড়তে চাইছেন শান্তাদেবী? ওয়াকিবহাল মহলের মত ছিল, স্রেফ অভিমানের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা জেলা তৃণমূল সভানেত্রী শান্তা। তবে এবিষয়ে সংবাদ শান্তা ছেত্রী জানিয়েছেন, গোটা ঘটনাটা ভুয়ো। আমাকে বদনাম করতে আমাদেরই দলের কয়েকজন এসব করছে। আমার ইস্তফা দেওয়ার হলে তা প্রেস ডেকে জানাতাম।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন জিটিএ ভোটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। দেখা যায়, সবাইকে পিছনে ফেলে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে পাহাড়ে সদ্যগঠিত রাজনৈতিক দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। যে দল গুরুং-তামাংদের একদা সহকর্মী অনীত থাপার। এবার গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাজকর্ম চালাবেন তিনিই। সেই আলোচনা করতেই নবান্নে এসেছিলেন অনীত থাপা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথাবার্তার পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ”আমি মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন জানিয়েছি, তিনি যেন শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। তিনি রাজি হয়েছেন। আমরা হাতে হাত মিলিয়ে পাহাড়ে উন্নয়নের কাজ করব।” সেই শপথের অনুষ্ঠানে হাজির থাকতেই আগামিকাল পাহাড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment