শিবসেনার একগুচ্ছ বিধায়ক বিদ্রোহী হয়ে ওঠায় মহা-সংকটে পড়ে গিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে ৷ তবে সেই সংকট কাটিয়ে মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার আবার ট্র্যাকে ফিরে আসবে বলে আত্মবিশ্বাসী এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার ৷ মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের কারিগর পাওয়ার বৃহস্পতিবার জানান, শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়করা ঘরে ফিরে এলে পরিস্থিতি বদলাবে ৷ নইলে আস্থা ভোটই বুঝিয়ে দেবে কার পক্ষে রয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ৷
মহারাষ্ট্রে এই রাজনৈতিক সংকট তৈরির জন্য নাম না করে বিজেপিকেই দায়ী করেন পাওয়ার৷ সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সবাই জানে কীভাবে শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের প্রথমে গুজরাত ও পরে অসমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ যারা ওদের মদত করেছে তাদের নাম নিতে চাই না৷ অসম সরকার সাহায্য করছে ৷ এর বেশি কারও নাম আমি নিতে চাই না৷’ অতীতে মহারাষ্ট্রে সরকার পড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ৷ পাওয়ারের হস্তক্ষেপে তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয় কং-এনসিপি-শিবসেনার জোট সরকার৷ শরদ পাওয়ার এদিন বলেন, আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি এই বিপর্যয় আমরা কাটিয়ে উঠব ৷ উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে সরকার আবার আগের মতো মসৃণভাবে চলবে ৷ মহারাষ্ট্র সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে কিনা সেটা প্রতিষ্ঠিত হবে বিধানসভায় ৷ যখন পদ্ধতি মেনে সবকিছু হবে, তখনই প্রমাণ হয়ে যাবে যে এই সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে ৷
এদিন গুয়াহাটি হোটেলে একটি বৈঠকের ছবি প্রকাশ করে শিন্ডে শিবির বুঝিয়ে দিয়েছে, দলের সিংহভাগ বিধায়ক তাদের সঙ্গে রয়েছেন ৷ শিন্ডে শিবিরের আরও দাবি, অন্তত ৪০ জন বিধায়কের সমর্থন তাদের দিকেই রয়েছে ৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, সরকার বাঁচানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে টিম ঠাকরে ডেপুটি স্পিকারের কাছে ১৫ জন বিদ্রোহী বিধায়কের সদস্যপদ খারিজের দাবি জানাতে পারে ৷ তবে দলত্যাগবিরোধী আইনের শর্ত মেনে বিধায়ক পদ বাঁচাতে শিন্ডে দলের ৫৫ জন বিধায়কের মধ্যে যদি ৩৭ জনের সমর্থন পেয়ে যান, সেক্ষেত্রে চাপে পড়তে পারেন উদ্ধব ঠাকরে ৷
Be the first to comment