দল ভাঙা অত সহজ নয় বুঝেও হাল ছাড়তে নারাজ শিবসেনার বিদ্রোহী মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তাঁকে নিয়ে মোট ১৬ জন বিধায়ককে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছেন, কেন তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আগামী সোমবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাঁদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই সংকটের মাঝেই শুক্রবার রাতে গুজরাতে শিন্ডে গোপন বৈঠক করেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সঙ্গে। দুজনের মধ্যে সরকার গঠন নিয়েই কথা হয়।
বিদ্রোহী শিবির সূত্রের খবর, শিন্ডে শুক্রবার অত্যন্ত গোপনে গুজরাতে চলে যান। আবার রাতেই গুয়াহাটি ফিরে আসেন। ফড়নবীশও ইন্দোর থেকে গতকাল গুজরাতে পৌঁছে যান। কিন্তু গুয়াহাটি ছেড়ে গুজরাতে কেন গোপন বৈঠক, তার কোনও ব্যাখ্যা মিলছে না।
অসমের বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে বলছেন, শিবসেনার এই বিদ্রোহ নিয়ে তাঁদের কোনও মাথাব্যথা নেই। তাঁরা এ নিয়ে নাক গলাতেও চাইছেন না। কিন্তু শুধু অসম কেন, গোটা দেশের মানুষ জানেন, মহারাষ্ট্র সরকারে ভাঙন ধরাতে অসমের বিজেপি নেতাদের বড় ভূমিকা রয়েছে। বস্তুত, দেবেন্দ্র এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকেই সরকার ভাঙার ব্যাপারে মূল দায়িত্ব দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তা না হলে বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়করা গুয়াহাটির হোটেলে উঠবেন কেন, এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক।
শনিবারই শিন্ডে বাহিনী ঠিক করেছে, তাদের নতুন দল বা মঞ্চের নাম হবে শিবসেনা বাল ঠাকরে। আবার এদিনই শিবসেনার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে উদ্ধব গোষ্ঠী শিন্ডে গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। শিন্ডে-সহ বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ বিধায়ককে তাড়ানোর সিদ্ধান্ত একেবারে পাকা। কর্মসমিতির বৈঠকে উদ্ধব মারাঠি অস্মিতার কথা উল্লেখ করে বলেন, বালাসাহেব ঠাকরের নাম ব্যবহার করতে শিন্ডেদের লজ্জা পাওয়া উচিত। ওই নাম উচ্চারণ করারও কোনও অধিকার তাঁদের নেই। শিবসেনার প্রতীক এবং বাল ঠাকরের নাম যাতে তাঁরা ব্যবহার করতে না পারেন, তার জন্য শিবসেনা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে।
Be the first to comment