দলত্যাগবিরোধী আইন প্রয়োগের দাবি ওঠায় ৪ সাংসদের বক্তব্য জানতে চাইল লোকসভার সচিবালয়। এর মধ্যে রয়েছেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। এছাড়া অন্ধ্র প্রদেশের YSR কংগ্রেসের ২ সাংসদ রয়েছেন এই তালিকায়।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে গত ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এগরায় বিজেপির মঞ্চে দেখা যায় কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে। বিধানসভা নির্বাচন মিটতে এই ২ সাংসদের বিরুদ্ধে দলত্যাগবিরোধী আইন প্রয়োগের দাবি জানায় তৃণমূল। তাদের বরখাস্ত করার দাবি তোলা হয়েছে রাজ্যের শাসকদলের তরফে।
তবে এদিন সাংসদদের নোটিশ পাঠানোর ঘটনার বিশেষ তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে কারণ, শুক্রবার কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির দলত্যাগবিরোধী আইন প্রয়োগের আবেদনের শুনানি করবেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হাজির থাকবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার আগে তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়াতেই সাংসদদের চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। শুক্রবারের শুনানির পর স্পিকার কোনও পদক্ষেপ না করলে পাল্টা আক্রমণ শুরু করার পরিসর তৈরি করল বিজেপি।
Be the first to comment