একনাথ শিন্ডে এবং তাঁর অনুগামী বিধায়কদের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব নিল শিবসেনার জাতীয় কর্মসমিতি। শনিবারের বৈঠকে স্থির হয়েছে, তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানাবে, শিন্ডে গোষ্ঠীকে যেন বালাসাহেব ঠাকরের নাম ব্যবহার করতে না দেওয়া হয়। এদিনই শিন্ডে গোষ্ঠী ঘোষণা করেছে, তাদের নতুন দল বা মঞ্চের নাম হবে শিবসেনা বালাসাহেব।
শনিবার দলের কর্মসমিতির বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেন, শিন্ডেদের বালাসাহেবের নাম উচ্চারণ করার কোনও অধিকার নেই। সাহস থাকলে তাঁরা তাঁদের বাবাদের নামে ভোট চান। দেখুন, কত ভোট পান। দলের অন্দরের খবর, এদিন বৈঠকে উদ্ধবের মেজাজ ছিল অত্যন্ত চড়া। গত কয়েক দিন ধরে তাঁকে যেমন মনমরা দেখাচ্ছিল, শনিবার সেরকম কিছু মনে হয়নি। প্রথম থেকেই তিনি ছিলেন রণংদেহি মেজাজে। তাঁর শরীরী ভাষা বুঝিয়ে দিচ্ছিল, তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন এবং বিনাযুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি ছাড়বেন না।
কর্মসমিতির বৈঠকে উদ্ধব রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আয়ত্তের বাইরে চলে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে বলেন দলের নেতা-কর্মীদের। তার আগেই অবশ্য উল্লাসনগরে শিন্ডের ছেলে এবং সংসদ সদস্য শ্রীকান্ত শিন্ডের অফিসে ভাঙচুর চালান শিবসেনা সমর্থকরা। পুণেতে এক বিক্ষুব্ধ বিধায়কের অফিসেও হামলা হয়েছে। মুম্বই শহরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
এদিনই মহারাষ্ট্র বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার শিন্ডে-সহ ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে ২৭ জুন বিকেল পাঁচটার মধ্যে চিঠির জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। কেন তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হবে না, তা জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শিন্ডে-সহ ৩৪ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক ডেপুটি স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। ডেপুটি স্পিকার সেই চিঠি খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, বিধায়করা একটি অজ্ঞাতপরিচয় ইমেল আইডি থেকে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাই তা খারিজ করা হয়েছে।
এদিন কর্মসমিতির বৈঠকের পরই এক টুইটে উদ্ধব বহুদিন পর ফের মারাঠি অস্মিতার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, মারাঠি অস্মিতা এবং হিন্দুত্বকে মহারাষ্ট্র থেকে বিসর্জন দেওয়া যাবে না। একনাথ শিন্ডের অভিযোগ ছিল, উদ্ধব ঠাকরে হিন্দুত্বকে বিসর্জন দিয়েছেন। তার জবাব শনিবার টুইটে দিলেন উদ্ধব।
Be the first to comment