পঞ্চায়েত প্রধান হতে না পারায় পাঁচ অনুগামীকে নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর বিডিও অফিসে এসে ইস্তফা দিলেন প্রধান পদের দাবীদার শ্যামল চন্দ্র রায়।শুধু তাই নয়, তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর নামে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
জলপাইগুড়ি মন্ডল ঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে ২৪ অগস্ট প্রকাশ্য এসেছিল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ। তারপর বুধবার ১৯ অগস্ট ফের প্রকাশ্যে এল জলপাইগুড়ি তৃণমূলের গোষ্ঠী দন্দ। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও গঠন করা বোর্ডে ফের বাড়লো জটিলতা। ১৬ আসন বিশিষ্ট মন্ডল ঘাট পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দখলে ছিল ৯টি আসন। সিপিএম-এর দখলে ছিল ৩টি আসন। বিজেপির দখলে ছিল ২টি আসন। আর বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের দখলে ছিল ২টি আসন।
পঞ্চায়েত সদস্য সৌরেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, “গত ২৩ অগস্ট থেকে টানা ১২ দিন আমরা সাতজন সৌরভ চক্রবর্তীর নির্দেশে কখনও জলপাইগুড়ির হোটেলে, কখনও লাটাগুড়ির রিসর্টে আবার কখনও বা আলিপুর দুয়ারের হোটেলে ছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিলো আমাদের মনোনীত সদস্যকেই প্রধান করা হবে। কিন্তু ২৪ অগস্ট গন্ডগোল পাকিয়ে তা করা হয়নি। একই ভাবে আজও আমাদের এলাকার মানুষের পছন্দের লোককে প্রধান করা হলো না। করা হলো প্রদীপ দাসকে। তাই আমরা পাঁচজন নির্বাচিত সদস্য বিডিও-কে ইস্তফা দাখিল করলাম। এ বার এই আসনে ফের ভোট হবে।”
জলপাইগুড়ি সদর বিডিও তাপসী সাহা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত পাঁচটি ইস্তফা পত্র হাতে পেয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এঁদের সবার হেয়ারিং হবে। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ দিকে গোটা ঘটনায় তৃনমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দের কোনও প্রশ্নই আসছে না। নিজেদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আলোচনায় মিটে যাবে।”
Be the first to comment