কালীপুজোর প্রাক সন্ধ্যায় দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াকের উদ্বোধনের সময়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কালীঘাট নিয়েও তাঁর মাথায় ভাবনা রয়েছে। কালীঘাটের মন্দিরে পুরোহিত-সেবায়িতরা চাইলে সেখানেও স্কাইওয়াক হতে পারে।
বলা মাত্র কাজ। কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি তথা কেএমডিএ সূত্র জানাচ্ছে, অচিরে স্কাইওয়াক হবে কালীঘাটেও। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রোড থেকে কালীঘাটে কালী মন্দিরের প্রায় দোরগোড়া পর্যন্ত ওই প্রস্তাবিত ওই স্কাইওয়াকের দৈর্ঘ্য হবে ৪৫০ মিটার। সে জন্য খরচ হবে আনুমানিক ১২৫ কোটি টাকা।
কেএমডিএ-র এক কর্তা জানান, দক্ষিণেশ্বরের মতোই কালীঘাটের স্কাইওয়াকের সঙ্গেও থাকবে তিন জোড়া এসকেলেটার। পুর কর্তারা জানাচ্ছেন, কালীঘাটে মন্দির যাওয়ার রাস্তায় দু’পাশে যে ভাবে হকার ও ডালাওয়ালা ছড়িয়ে বসেছে তাতে দর্শনার্থীদের অসুবিধা হয় বইকি। স্কাইওয়াকের উদ্দেশ্যই হল দর্শনার্থীদের সুষ্ঠুভাবে যাতায়াতের সুবিধা করে দেওয়া। ৫১টি সতীপীঠের অন্যতম হল কালীঘাট। শনি-মঙ্গলবার তো বটেই অমাবস্যায় কালীঘাটে ভিড় উপচে। প্রতিদিন ভিন রাজ্য থেকে প্রচুর মানুষ আসেন দক্ষিণাকালী মাকে পুজো দিতে। কলকাতার এমন একটি দর্শনীয় স্থানের পরিকাঠামো উন্নয়ন জরুরি।
Be the first to comment