সব কিছু পরিকল্পনা মাফিক চললে তৃণমূলেই ফিরছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর এ বিষয়ে আলোচনা একেবারে চূড়ান্ত স্তরে পৌঁছেছে। শেষ মুহূর্তে কোনও নাটকীয় পট পরিবর্তন না হলে বিজেপির সঙ্গে যাবতীয় সংস্রব এবং সম্পর্ক চুকিয়ে শোভন ফিরছেন তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা সেই পুরনো ঠিকানায়।
এই জল্পনাকেই বৈধতা দিয়ে শোভন এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বুধবার দুপুরে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের যে রাজনৈতিক আলোচনাই হয়েছে তা সাফ জানিয়ে দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের বান্ধবী। আনুষ্ঠানিকভাবে ফের তৃণমূলে কবে ফিরছেন দু’জনে? তা ‘সময় বলবে’ বলেই জানান তিনি।
তবে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শোভন বললেন, বাংলায় কেউ অরাজনৈতিক আছেন? অনেক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। আমি বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভক্ত। ওনার আদর্শে চলতে পছন্দ করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ বাস্তবায়িত করা আমার দায়িত্ব।
পাশে দাঁড়িয়ে তখন মুচকি মুচকি হাসছিলেন বৈশাখী। মুহূর্তেই সংবাদমাধ্যমের ফোকাস কেড়ে নিলেন তিনি। বললেন, ভাই-দিদির আলোচনা হয়েছে। কিছু ব্যক্তিগত। কিছু রাজনৈতিক। অভিমানের প্রাচীর ভেঙে গিয়েছে। অনেকক্ষণ কথা হয়েছে। দিদির ইচ্ছামতো কাজ করতে পছন্দ করেন তাঁর ভাই শোভন।
তাহলে কি তৃণমূলে শোভন-বৈশাখীর তৃণমূলে ফেরা সময়ের অপেক্ষা? বৈশাখী বলছেন, অপেক্ষা করুন। ধৈর্য ধরুন। সব জানতে পারবেন। আর শোভন বলছেন, অনুমান করা সাংবাদিকদের কাজ। আপনারা অনুমান করে নিন আগামী দিনটা।
শোভন-বৈশাখীর এই নবান্ন-সফরের মাঝেই উঠে এল রত্না প্রসঙ্গ। স্ত্রী রত্নার নাম শুনতেই ভ্রূ কুঁচকালেন শোভন। বান্ধবী বৈশাখী বললেন, আমাদের মধ্যে রত্না নামটার কোনও গুরুত্বই নেই।
তৃণমূলের একটি সূত্রের বক্তব্য, একসঙ্গেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন শোভন-বৈশাখী। ফিরলেও জুড়িতেই ফিরবেন। সে ক্ষেত্রে বৈশাখীকে দলের কাজে কী ভাবে লাগানো যায়, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
Be the first to comment