তাঁর সিঁথিতে শোভনের সিঁদুর পরানো নিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়ায় পালটা বিঁধলেন বৈশাখী। শুক্রবার বিজয়া দশমীর সন্ধ্যায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন শোভন। এর পরই বৈশাখীকে ‘রক্ষিতা’ বলে কটাক্ষ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনি স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। পালটা এদিন রত্নাকে বৈশাখীর প্রশ্ন, ‘রক্ষিতার বাড়িতে আশ্রিতা হয়ে রয়েছেন কেন?’
শুক্রবারের ঘটনার পর রত্নাদেবী বলেছিলেন, ‘আইন অনুসারে আমি এখনো শোভনের স্ত্রী। তাই ও অন্য কাউকে সিঁদুর পরাতে পারে না। স্ত্রীকে ছেড়ে যদি কোনও পুরুষ অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে থাকেন তাহলে তাঁকে রক্ষিতা বলে। সিঁদুর পরালেই কেউ স্ত্রী হয়ে যায় না।’
এদিন পালটা বৈশাখীদেবী বলেন, ‘এটা আমার আর শোভনের ব্যক্তিগত বিষয়। আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শোভন তার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সম্পর্কের কোনও গুরুত্ব না থাকলে শোভন তাকে স্বীকৃতি দিতেন না। দুজনের ব্যক্তিগত জীবনে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ তা কি সমাজ ঠিক করে দেবে?’ বৈশাখী বলেন, ‘মনোজিৎকে (বৈশাখীদেবীর আইনি স্বামী) যে দিন আমি মন থেকে মুছে ফেলেছি সেদিনই আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে।’
এর পরই রক্ষিতা কটাক্ষের জবাব দেন বৈশাখী। বলেন, ‘শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তাঁর বাড়ি আমাকে বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই বাড়ির মালিক এখন আমি। রক্ষিতার বাড়িতে উনি আশ্রিতা হয়ে আছেন কেন? পুজোর ছুটি শেষ হলেই বাড়ি খালি করার নোটিশ পাঠাবো।’
রত্নাকে উদ্দেশ করে বৈশাখী বলেন, ‘ওর মন্তব্যের জবাব আমি দেব না। উনি আমার নাম করে বেঁচে থাকেন। আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়ে কারও কিছু বলার থাকতে পারে না।’
Be the first to comment