প্যালেস্তিনি জঙ্গি সংগঠন হামাসের রকেট হামলার শিকার হওয়া ৩০ বছর বয়সী ভারতীয় নার্স সৌম্যা সন্তোষ-এর দেহবাশেষ নয়াদিল্লি এয়ারপোর্ট পৌঁছল। এর আগে ভারতীয় দূতাবাস থেকে একটি ট্যুইট করে জানিয়েছিল, সৌম্যার দেহবাশেষ নিয়ে একটি বিমান শুক্রবার সন্ধে ৭ টা নাগাদ বেন-গুরিয়ন এয়ারপোর্ট থেকে রওনা দিয়েছে। এই বিমান শনিবার সকালে দিল্লি পৌঁছাতে পারে বলে জানানো হয়েছিল। সেইমত এদিন সকালেই দেশে এসে পৌঁছেছে সৌম্যর দেহাবশেষ। দিল্লি বিমানবন্দরে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বি. মুরলীধরন আর ইজরায়েলের উপ-রাজদূত য়েডিল্ডিয়া ক্লেন উপস্থিত ছিলেন। আজই সৌম্যার দেহবাশেষ দিল্লি থেকে কেরলের ইডুক্কি জেলায় তাঁর পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।
সৌম্যা ইজরায়েলের দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকা এশকেলানের একটি বাড়িতে ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মহিলার নার্স হিসেবে কাজ করতেন। সোমবার যখন হামাসের জঙ্গিরা গাজা সিটি থেকে এশকেলানের উপর রকেট হামলা করে, তখন সৌম্যা নিজের স্বামীর সঙ্গে ফোনে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন। ঠিক তখনই তাঁর বিল্ডিং-এ এসে পড়ে হামাসের রকেট। প্রচন্ড আওয়াজের পর ভিডিও কল কেটে যায়। তারপরই সোম্যার স্বামী বারবার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পারেননি। বেশ কিছুক্ষণ পর ওই শহরে সৌম্যার পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর স্বামীর। তিনি রকেট হানায় স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পান।
জানা যায়, রকেট সরাসরি ওই বৃদ্ধা মহিলার বাড়িতে গিয়ে আঘাত হানে, যার কারণে সৌম্যা প্রাণ হারান।৮০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধা মহিলা গুরুতর আহত হয়েছেন, হাসপাতালে ওনার চিকিৎসা চলছে। গত ৭ বছর ধরে ইজরায়েলে কাজ করা সৌম্যার ৯ বছরের একটি ছেলে আছে। তাঁর ওই সন্তান তাঁর বাবার সঙ্গে কেরলেই থাকে। এই নিদারুন মৃত্যু মানতে পারছেন না সৌম্যার পরিবারেরই কেউই। আজ তাঁদের কাছেই পৌঁছবে সৌম্যার শেষটুকু।
Be the first to comment