কয়েকমাস আগেই শুরু হয়েছে জনপ্রিয় রিয়েলিটি গেম শো বিগ বস সিজন ১২। আর নতুন সিজনে বিগ বসের ঘরের প্রতিযোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বিতর্ক হয়েছে তিনজনকে নিয়ে। ভজন গায়ক অনুপ জালোটা, তাঁর বান্ধবী জসলিন মাথারু এবং প্রাক্তন ভারতীয় বোলার শ্রীসান্থকে নিয়ে। তবে বিতর্কের খাতিরে অনুপ আর জসলিনকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছেন শ্রীসান্থ। প্রতিযোগী দীপিকা কক্করের সঙ্গে বিগ বসের ঘরে খারাপ ব্যবহারের জন্য সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে শ্রীসান্থের নাম। এমনকী বিগ বসের রোষের মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। তবে নিজের বিস্ফোরক চরিত্র বজায় রেখেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার।
সম্প্রতি শ্রীসান্থ জানিয়েছেন, অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। চেয়েছিলেন নিজেকে শেষ করে দিতে। কিন্তু কেন? কী এমন ঘটেছিল শ্রীসান্থের জীবনে যে এতো বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি? বিগ বসের ঘরে ক্যামেরার সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন খোলোয়াড়। জানান, স্পট ফিক্সিং-এর অভিযোগে নির্বাসিত হয়েছিলেন তিনি। এমনকী মাঠের আশেপাশেও যেন তাঁকে দেখা না যায় এমন নির্দেশই নাকি জারি করা হয়েছিল। কেরিয়ারের সফলতম পর্যায়ে এসে এ হেন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি শ্রীসান্থ। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। নিজেকে শেষ করার কথাও ভেবেছিলেন। কিন্তু সে সময় পাশে ছিল তাঁর পরিবার। তাঁদের মানসিক সমর্থনেই শেষ পর্যন্ত অবসাদ কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন বলে জানিয়েছেন শ্রীসান্থ।
কিছুদিন আগেই, বিগ বসের ঘরে শ্রীসান্থ নিজেই তুলেছিলেন আইপিএল ম্যাচে তাঁর এবং হরভজন সিং-এর মধ্যে ঘটে যাওয়া হাতাহাতির প্রসঙ্গ। শ্রীসান্থ জানান, সেদিন ম্যাচ শেষে মাথা গরম করেই তাঁকে ঘুষি মেরেছিলেন হরভজন। পাল্টা তিনিও মারতে পারতেন। কিন্তু মারেননি। কারণ বুঝেছিলেন তাঁর সতীর্থ মাথা গরম করেই এমনটা করে ফেলেছেন। তবে বন্ধুর এমন ব্যবহারে কেঁদে ফেলেছিলেন শ্রীসান্থ। সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল ফেলে দিয়েছিল সেই ভিডিও। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে, আইপিএল ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ানসের মুখোমুখি হয়েছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। মুম্বইয়ের টিমে ছিলেন শ্রীসান্থ। পাঞ্জাবে হরভজন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ম্যাচ যেতে মুম্বই। এরপরেই হরভজনকে সমবেদনা জানাতে যান শ্রীসান্থ। তখনই তাঁর মুখে নাকি সজোরে ঘুষি মারেন হরভজন। এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন শ্রীসান্থ।
Be the first to comment