শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দীনেশ গুণবর্ধনে। এর আগে তিনি বিদেশমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। দীনেশ রাজাপক্ষে পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। মন্ত্রিসভার শপথের আগের রাতে লঙ্কাবাহিনী আন্দোলনকারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ব্যাপক ধস্তাধস্তি, মারধর করে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের প্রধান শিবির তছনছ করে সেখান থেকে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। রেয়াত করা হয়নি সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহকদেরও। বেশ কয়েকজনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করেছে পুলিস। প্রায় মাস তিনেক ধরে বিক্ষোভকারীরা এখানে ঘাঁটি গেড়ে ছিল।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিংহে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, যতক্ষণ না বিরোধী দলগুলো সরকারকে সহযোগিতায় রাজি হচ্ছে ততক্ষণ পুরনো মন্ত্রিসভা নিয়েই তিনি কাজ চালাবেন। বিক্রমসিংহে ইতিমধ্যেই দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকারে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও বিরোধীদের থেকে তেমন সাড়া পাননি তিনি। এদিকে প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিঙ্ঘে, বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সাজিথ টুইটে জানান, রাজনৈতিক সুযোগসন্ধানীদের মন্ত্রিত্ব বিলি করার চেয়ে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছনোটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সেই বৈঠকের একদিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দীনেশ। চরম অর্থনৈতিক সংকটের জেরে শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই কারণে একযোগে পদত্যাগ করেন দ্বীপরাষ্ট্রটির মন্ত্রিসভার সব সদস্য। ৩ এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে বাদে মন্ত্রিসভার ২৬ সদস্যই পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগী মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে নামাল রাজাপক্ষেও। এর পর নতুন চারজনকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন প্রেসিডেন্ট। অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাসিল রাজাপক্ষের স্থলাভিষিক্ত হন আলি সাবরি। বিদেশমন্ত্রী হন জিএল পেইরিস। দীনেশ শিক্ষামন্ত্রী ও জনস্টন ফার্নান্দো সড়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
Be the first to comment