কড়া বিধিনিষেধের মধ্যেই স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে ২ কোটিরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করেছেন। এর মাধ্যমে রেলের আয়ও হয়েছে কোটি টাকারও বেশি। মে থেকে জুলাই পর্যন্ত এই তিন মাসের হিসাবে এমনই তথ্য হাতে এসেছে। রাজ্য সরকারের জারি করা বিধিনিষেধের মধ্যেই এত লোক ট্রেনে যাতায়াত করেছেন।
এখনও পর্যন্ত সাধারণ যাত্রীদের লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়নি। তবে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরা স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে যাতায়াত করতে শুরু করেছেন। রেল সূত্রে খবর, মে মাসে শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশনে লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেছেন প্রায় ১৮ লাখ ১১ হাজার যাত্রী। এর ফলে রেলের আয় হয়েছে ৬৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
জুন মাসে লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেছেন ১৮ লাখ ৪৮ হাজার যাত্রী। এর ফলে রেলের উপার্জন হয়েছে ৭১ লাখ ৩১ হাজার টাকা। জুলাই মাস এখনও শেষ হয়নি। তাতেই লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেছেন প্রায় ৩১ লাখ যাত্রী। এর ফলে রেলে উপার্জন হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, প্রতি মাসেই স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। এর ফলে রেলের উপার্জনও বাড়ছে।
করোনা আবহে লোকাল ট্রেন দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় রেলের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। আয় সেই অর্থে হয়নি। এখন হাওড়া ও শিয়ালদহ ডিভিশনে যাত্রীদের সংখ্যা বাড়ায় লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিয়ালদহে দিনে ৪৬২টি লোকাল ট্রেন চলছে। এবার আরও ৭২টি লোকাল ট্রেন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে হাওড়ায় এখন ২০৪টি লোকাল ট্রেন চলছে। আরও ১০টি লোকাল ট্রেন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি এখন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে ঠিকই। কিন্তু ফের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যে হারে লোকাল ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে, তা থেকে আরও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
Be the first to comment