রোজদিন ডেস্ক :- বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস-সহ সকল সন্ন্যাসীদের নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে। না হলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার এবং ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস-সহ সকল সন্ন্যাসীদের নিঃশর্তে মুক্তির দাবিতে যে সভার আয়োজন করা হয়, সেখান থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘আজ ট্রেলার দেখালাম, আগামী সপ্তাহে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ না হলে বা প্রভু মুক্তি না পেলে পাঁচ দিনের জন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় বানিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। যার জেরে বাংলাদেশের আলু, পেঁয়াজ খাওয়া ভুলে যেতে হবে। জাতি সংঘের কাছে অনুরোধ বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।’
এদিন বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, ‘‘ইউনূস হুঁশিয়ার, শুধু কলকাতায় একদিনে যে আবর্জনা বের হয়, ওটা ফেলে দিয়ে এলেই ঢাকা পড়ে যাবেন আপনি। পাঙ্গা নিতে আসবেন না।’’ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ইউনূস সরকারকে ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেন শুভেন্দু। তিনি জানান, ১৯৭১ সালে ১৭,০০০ ভারতীয় জওয়ান আত্মবলিদান দিয়ে এই বাংলাদেশ তৈরি করে দিয়েছেন। এটা ভুললে চলবে না। কেউ যদি অতীত ভুলে যান, তাঁর ভবিষ্যৎ ভালো হয় না।
এদিন শুভেন্দু ওই সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও একহাত নেন। তিনি বলেন, ‘ওপারের ইউনুস যা, এপারের মমতাও তাই। হিন্দুদের সম্মান নষ্ট করতে যা করার সবকিছুই করছেন।’
সনাতনী হিন্দু সংগঠনের ডাকে এদিন দুপুরে পেট্রাপোল সীমান্তের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকে হিন্দুদের জোট বাঁধার ডাক দেন তিনি। এর পর হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে জিরো পয়েন্টের দিকে পদযাত্রা করেন। সেখানে কালো বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদ দেখান। তার পর প্যাসেঞ্জার টার্মিনাস ধরে অভিবাসন কেন্দ্রের দিকে রওনা দেন। সকাল থেকেই এই চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন প্রচুর মানুষ। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। হাতও মেলান। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথায়, “হাজার হাজার মানুষ জমায়েত করেছে। এরা কোনও বিজেপি নয়। হিন্দুরা জোট বাঁধছে। সকাল ছটা থেকে সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ।” শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, “একদিনেই টাইট হয়ে গিয়েছে।”
এদিন সকাল থেকেই সীমান্তে দু’দেশের যাতায়াত এবং বানিজ্য ব্যাহত হয়। পেট্রোপোল সীমান্তে সোমবার সকাল ৬টা থেকে বানিজ্য বন্ধ আছে যা মঙ্গলবার সকাল ৬টা অবধি কার্যকর থাকবে।’
Be the first to comment