জরুরি ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু মুম্বই হাইকোর্টে শুনানি শুরুর আগেই মৃত্যু হল সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামীর। মুম্বইয়ের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের চিকিৎসক ডি’সুজা জানান, সোমবার দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে মারা গিয়েছেন তিনি। যিনি এলগার পরিষদ ও মাওবাদী সংযোগ মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন।
এলগার পরিষদ মামলায় স্ট্যান-সহ একাধিক সমাজকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ভীমা কোরেগাওঁয়ে জাতপাতের ভিত্তিতে হিংসা ছড়ানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা এবং নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআইয়ের (মাওবাদী) হয়ে কাজ করা সংগঠনের সদস্য হওয়ার অভিযোগ আনে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
সেইসঙ্গে দাবি করা হয়, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুণেতে আয়োজিত একটি কনক্লেভে প্ররোচনামূলক বক্তৃতা দেওয়ার জন্য পরদিন ভীমা কোরেগাওঁয়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল। গত মাসে হাইকোর্টে হলফনামা দাখিলে করে অসুস্থতার কারণে স্ট্যানের জামিনের আর্জি বিরোধিতা করেছিল এনআইএ। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হযেছিল, স্ট্যানের অসুস্থতার স্বপপক্ষে কোনও জোরদার ‘প্রমাণ’ মেলেনি।
যদিও স্ট্যানের দাবি ছিল, পার্কিনসন-সহ একাধিক গুরুতর অসুস্থতার ভুগছেন। এমনকী নিজে হাতে খেতেও পারেন না। সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন আর্জি জানিয়ে চলতি বছরের গোড়ার দিকে হাইকোর্টে যান স্ট্যান। যিনি আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন বলে দাবি করেছেন স্ট্যানের অনুরাগীরা। তারইমধ্যে গত মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন স্ট্যান। তখনই তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তিরত করা হয়েছিল।
Be the first to comment