একেবারে সিবিআই আধিকারিক পরিচয় দিয়ে বোনা হয়েছিল প্রতারণার জাল। অভিযোগ, রীতিমতো নীলবাতি চেপে ঘুরেও বেড়াত সে। নাম শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ি হাওড়ার জগাছায়। পুলিশ সূত্রে খবর মোবাইলের মাধ্যমে সে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল।
এদিকে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ফোন সে রিসিভ করছিল। দিল্লিতে আছে বলেও সে জানাতে থাকে। এরপরই ফাঁদ পাতে পুলিশ। সেই মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করেই পুলিশ তার খোঁজ পায়। এরপর রবিবার রাতে তাকে পাকড়াও করল হাওড়া পুলিশের তদন্তকারী টিম।
পুলিশ সূত্রে খবর, দিল্লির একটি পাঁচতারা হোটেলে গা ঢালা দিয়েছিল সে। দিল্লি পুলিশের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, তার প্রাক্তন স্ত্রীর মাধ্যমেই গোটা বিষয়টি সামনে আসে। বিয়ের পর থেকে নানা ক্ষেত্রে স্বামীকে নিয়ে তার সন্দেহ দানা বাঁধে। ওই যুবক নকল পে স্লিপ বাড়িতে তৈরি করে স্ত্রীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ।
এদিকে প্রতিবাদ করলে স্ত্রীর উপর নির্যাতন করা হত বলেও অভিযোগ। এনিয়ে অভিযোগও দায়ের হয়। এদিকে ২০১৯ সালে শুভদীপের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তারপর থেকেই সে নিজেকে সিবিআই অফিসার হিসাবে পরিচয় দিত বলে অভিযোগ। এদিকে সম্প্রতি কিছু নথি নিয়ে ওই মহিলা সল্টেলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে যাচাই করেন। কিন্তু সেখানে তিনি অনেকটাই নিশ্চিত হন যে তার স্বামী সিবিআইয়ের সঙ্গে যুক্ত নন।
এদিকে শুভদীপ নানা সময় চাকরি দেওয়ার নাম করেও প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। বাবা মাকে অন্ধকারে রেখেই সে এই ধরনের কাজ চালাত বলে অভিযোগ। সন্তানকে গ্রেফতারের জন্য তার বাবা মাও আর্জি জানান। এরপরই তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কতদূর ছড়ানো ছিল তার প্রতারণার জাল সেটা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
Be the first to comment